মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী
কোনো মুসলমানের জানাজায় যদি ৪০ জন শিরকমুক্ত তাওহিদি মুসলিম শরিক হন এবং মাইয়েতের ভালো মানুষ হওয়ার সাক্ষ্য দেন, তাহলে আল্লাহ তাদের সুপারিশ কবুল করে মৃতকে মাগফেরাত করে দেন। এমন আশাবাদ হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে।
আজ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ শেরেবাংলা নগরের সংসদ পরিসরে তো কমবেশি ৪০ লাখ মুসলমান শরিক হয়েছেন। এটি সমসাময়িক বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সলাতুল জানাজা। ইতিহাসে কোনো মানবীর সর্ববৃহৎ জানাজা।
কিছু না কিছু অপ্রসিদ্ধ অপরিচিত গুমনাম মুস্তাজাবুদ্দাওয়াত বান্দা, রাব্বানি ব্যবস্থাপনা জগতের খাসানে খোদা, আলমে তাকওয়ীনের নেজামতে কর্মরত আহলুল্লাহও নিঃসন্দেহে হাজির থেকে থাকবেন।
আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাদের উপস্থিতি এবং কোটি মানুষের দোয়া মুসলমান মাইয়েতের পক্ষে ইনশাআল্লাহ কবুল করবেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নের অভিযাত্রায় নীতিপরায়ন নেতৃত্ব, গৌরবময় একটি সুদীর্ঘ ইতিকাহিনীর পার্থিব পরিসমাপ্তি ঘটলো ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫। ধৈর্য সহিষ্ণুতা, উচ্চ পর্যায়ের ভদ্রতা, মানবিক সদাচরণ, গুণময় বাকসংযম, নৈশব্দিক আভিজাত্য, ঝঞ্জাবিক্ষুব্ধ সময় ও শোকতাপে অনুসরণীয় সহনশীলতা, সততা ন্যায়নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের জায়গা থেকে বর্তমান সময়ের অতুল জাতীয় ব্যক্তিত্ব এবং শত জুলুম নির্যাতনেও হার না মানা আপসহীন এক শতাব্দী স্মারক কিংবদন্তী মহিরুহের জীবনাবসান।
দয়াময় মায়াময় পরম ক্ষমাশীল আল্লাহ মাগফিরাত ও রহমতের চাদরে মরহুমাকে আবৃত করে নিন। তার মানবীয় ভুল ত্রুটি মাফ করে দিন এবং জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসাবে কবুল করুন।
লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, কলামিস্ট ও রাষ্ট্রচিন্তক
আরএইচ/