বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে প্রবেশ করেছে। আজ বুধবার দুপুর ১২টার একটু পরে খালেদা জিয়ার কফিন জাতীয় পতাকায় মোড়ানো গাড়ি সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশ করে।
বেলা ২টায় তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জানাজা নামাজে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব আব্দুল মালেক।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বরের তারেক রহমানের বাসা থেকে তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স যাত্রা শুরু করে। তারও আগে সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় খালেদা জিয়ার মরদেহবাহী জাতীয় পতাকায় মোড়ানো অ্যাম্বুলেন্সটি এসে পৌঁছায়। এর আগে ৯টার একটু আগে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি যাত্রা শুরু করে।
এদিকে মরদেহ আনার কারণে গুলশান অ্যাভিনিউ সড়কের ১৯৬ নম্বর বাসভবন ও ফিরোজার আশপাশের এলাকায় সকাল থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বাড়িটিকে ঘিরে রাখেন। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে গুলশান অ্যাভিনিউ সড়ক। সড়কটি দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।
গাড়িবহর লাল সবুজ রঙের বাসটিও ছিল। তারেক রহমান, তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান, কন্যা জাইমা রহমান, ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা জানাজাস্থলে আসেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার স্বজনেরাও গাড়িবহরে ছিলেন।
জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে তার স্বামী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ ঢাকায় আসছেন ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি।
গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে ইন্তেকাল করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ৮০ বছরের অর্জনপূর্ণ জীবনের অবসানেও তার জন্য শোকস্তব্ধ বাংলাদেশ।
তার মৃত্যুতে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত (৩১ ডিসেম্বর এবং ১ ও ২ জানুয়ারি) তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। এ ছাড়া বুধবার সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আরএইচ/