বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ৯ পৌষ ১৪৩২ ।। ৪ রজব ১৪৪৭


সপরিবারে দেশের পথে তারেক রহমান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পরিবারের সদস্যদেরসহ যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসতে রওয়ানা হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টার পর তিনি লন্ডন থেকে হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা করেন। মধ্যরাতে তিনি বাংলাদেশের উদ্দেশে বিমানের ফ্লাইটে উঠবেন।

তারেক রহমানের সঙ্গে একই ফ্লাইটে দেশে ফিরছেন তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।

দেড় যুগ পর তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে দেশজুড়ে রাজনৈতিক অঙ্গন, নেতাকর্মী, সমর্থক এবং সর্বসাধারণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ, কৌতূহল ও আবেগের সঞ্চার হয়েছে। এ প্রত্যাবর্তন শুধু একজন নেতার দেশে ফেরা নয়, বরং সর্বজনীন প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষার মেলবন্ধন, যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ জনসমাগমের সম্ভাবনা।

তারেক রহমানকে বহনকারী ফ্লাইটটি সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। অবতরণের পরপরই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা ও প্রটোকল ব্যবস্থাপনা কার্যকর করা হবে।

তারেক রহমানের প্রথম ও প্রধান অগ্রাধিকার হলো সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তার গুরুতর অসুস্থ মমতাময়ী মা, বাংলাদেশের অভিভাবক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যাওয়া।

তবে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে, জনগণের প্রত্যাশার প্রতি সম্মান জানিয়ে, যাত্রাপথের মাঝামাঝি রাজধানীর ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট) এলাকায় তিনি অতি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দেশবাসীর উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন। সেখান থেকে হাসপাতালে গিয়ে দেশনেত্রীর পাশে থাকবেন, ও সেখান থেকে সরাসরি গুলশানে নিজ বাসায় যাবেন।

এই স্থান নির্বাচনের পেছনে রয়েছে একটি সুস্পষ্ট কৌশলগত ও মানবিক সিদ্ধান্ত, তথা জনদুর্ভোগ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা। তারেক রহমানের নির্দেশনা প্রতিপালন করতে গিয়ে রাজধানীর কেন্দ্রীয় ও ঐতিহাসিক স্থান যেমন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা মানিক মিয়া এভিনিউ ইচ্ছাকৃতভাবেই কর্মসূচির বাইরে রাখা হয়েছে। পরিবর্তে রাজধানীর এক পাশে, সম্ভাব্য সর্বোচ্চ দীর্ঘ ও প্রশস্ত সড়ক, যেটি শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে বহু দূরে, সেই ৩০০ ফুট প্রশস্ত ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’-এর শুধুমাত্র এক পাশের সার্ভিস লেনকে অতি সংক্ষিপ্ত গণঅভ্যর্থনাস্থল হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ