শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ৫ পৌষ ১৪৩২ ।। ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭


জানাজা বলে দেয় মানুষটি কতটা সফল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী

একটি জীবন শহীদি মৃত্যুতে কতটা মহিমান্বিত হয়, তা শহীদের মর্যাদা দেখে বোঝা যায়। একজন সদ্য তরুণ, যিনি না ২০/৩০ বছরের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, না জাতীয় নেতা বা পিতা, কী এমন কাজ করেছেন, যে জন্য তাঁর শাহাদাতে মানুষ এভাবে মর্মাহত শোকাহত? তিনি দেশ ও জনগণের বাস্তবিক কল্যাণচিন্তা এবং সামগ্রিক পরিবর্তনের প্রত্যাশা নিয়ে বিপ্লবী কর্মতৎপরতা শুরু করেছিলেন। বীরের মতো শহীদি মৃত্যুকে বরণ করেছেন।

নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাঁর কোনো বান্দাকে ভালোবাসলে, হজরত জিবরাইল আ. কে একথা আসমানের জগতে ছড়িয়ে দেওয়ার হুকুম করেন। এর প্রভাব পৃথিবীতে পড়ে এবং মানুষের মনে তার প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়।

একাধারে শত বছর ধরে রাষ্ট্র, সরকার ও সংগঠন মিলে  অগণিত অর্থ সম্পদ ব্যয় করে প্রোপাগাণ্ডা চালিয়ে প্রজন্মের মনে ভালোবাসা গেঁথে দিয়েও আন্তরিক ভালোবাসা ও নিখাদ মহব্বত তৈরি করা যায় না। কৃত্রিম কিছু জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হলে বৃষ্টির পানিতে পাথরের উপর জমানো ধূলোর মতো সেসব ঠুনকো শ্রদ্ধা ভালোবাসা ধুয়ে চলে যায়। গত শতাব্দী জুড়ে এমন নজির দুনিয়ায় ভরপুর।

আমাদের দেশের শাসনকর্তারা যদি আল্লাহয় বিশ্বাসী স্বাধীনচেতা দেশপ্রেমিক মানুষের এমন ভালোবাসা পেতে আগ্রহী হন, তাহলে শহীদ জিয়া ও শহীদ ওসমান হাদি যে কর্মপন্থা অবলম্বন করে এমন দৃষ্টান্তরহিত জানাজা লাভ করেছেন, এমন আদর্শ ও কর্মপদ্ধতি নিয়ে এগোতে হবে।

বাংলাদেশের গণমানুষের পক্ষের রাজনীতি করেই এমন ভাবে মানুষের হৃদয়ে জায়গা লাভ করা যেতে পারে।যারা আগামীতে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন তাদের মনে রাখতে হবে, তারা যেদিন মরবেন সেদিনটা কেমন হবে এবং নিজেদের মৃত্যুর পর জীবনকাল এবং  শাসনামল সম্পর্কে কেমন পাবলিক পার্সেপশান ও প্রতিক্রিয়া আশা করেন! তারা কি মরে যাবেন না মরেও অমর হয়ে থাকবেন, সেটি তাদের বিবেচনা।

লেখক: রাষ্ট্রচিন্তক, বিশ্লেষক ও সিনিয়র সাংবাদিক

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ