কোনো ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, আমি স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) এ নির্দেশ দিলাম। কারণ আমরা আগের জায়গায় ফিরে যেতে চাই না।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের হলরুমে প্রশাসনের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
তিনি বলেন, একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ ও নির্বাচন উপহার দিতে চাই। সেই জন্য আমরা কাজ করছি।
জেলা প্রশাসক বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের অনিয়ম, কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার নিয়ে কারসাজি বা ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা বরদাশত করা হবে না। এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ও নিরাপদ পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেই বিষয়টি প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক বলেন, নির্বাচনি দায়িত্ব পালনে নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে। দায়িত্বে অবহেলা কিংবা পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সাংবাদিকরা নির্বাচনকালীন তথ্য সংগ্রহ ও সংবাদ প্রকাশে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। রাজনৈতিক নেতারাও নির্বাচনে সহিংসতা ও অনিয়ম এড়াতে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সভায় হাজীগঞ্জ ইউএনও মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান, থানার ওসি মো. আ. জব্বার, হাজীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি খালেকুজ্জামান শামীম, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এমএ রহিম পাটোয়ারি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর সিদ্দিকীসহ বিভিন্নস্তরের নেতারা বক্তব্য রাখেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরএইচ/