বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
কোনাবাড়ী উলামা পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন বৃহস্পতি ও শুক্রবার খালেদা জিয়াকে বিদেশে না নিলে তারেক রহমান দ্রুত দেশে আসবেন : এ্যানি অপরাধ প্রবণতা কমাতে মডেল মসজিদগুলো সহায়ক হবে: ধর্ম উপদেষ্টা কে কোথায় থেকে লড়বেন এনসিপির আলোচিত নেতারা? যেভাবে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় সেই গৃহকর্মী গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে এনসিপির মনোনয়ন পেলেন মাওলানা আশরাফ মাহদী পাঁচ দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় এনসিপির প্রথম ধাপে ১২৫ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা: জয়-পলকের বিরুদ্ধে শুনানি আজ

‘মওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধন আজ


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচপীর বাজার-কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার সংযোগ সড়কের তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ আজ বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুর ১২টায় উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণলয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া এই সেতু উদ্বোধন করবেন। 

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর এলাকায় এবং কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী এলাকায় নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবিতে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের মানুষ আন্দোলন করে আসছিলেন। তাদের এই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করার জন্য নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  

এরপর ২০১২ সালে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। বাংলাদেশ সরকার (জিওবি), সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ওফিড) অর্থায়নে ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ সেতুর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে। চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এলজিইডির তত্ত্বাবধানে সেতুটি নির্মাণ করে। হরিপুর সেতু পয়েন্ট থেকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহর পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার সংযোগ সড়কও হচ্ছে। 

মোট ব্যয়ের মধ্যে মূল সেতু নির্মাণে ২৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। সড়ক নির্মাণে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, নদী ব্যবস্থাপনায় ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং জমি অধিগ্রহণে ৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ৩০টি স্তম্ভ বিশিষ্ট এই সেতুর মধ্যে ২৮টি স্তম্ভ নদীর ভেতরের অংশে এবং ২টি স্তম্ভ নদীর বাইরের অংশে। সেতুর উভয় পাশে নদী নিয়ন্ত্রণ করা হবে।  

স্থানীয়রা বলছেন, এই সেতুটি চালু হলে কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর, চিলমারী ও রৌমারী উপজেলা এবং গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা এবং এর সংলগ্ন উপজেলার কৃষকদের কৃষিপণ্য সময়মতো দেশের বড় বড় শহরে কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য পাঠাতে সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ