মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
জামায়াতের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ময়মনসিংহে ইসলামি বইমেলা শুরু ১৩ নভেম্বর ভারতের পুনে দুর্গে নামাজ আদায় করা নিয়ে দেশভর তোলপাড় ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: শায়খে চরমোনাই কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত 'বাংলাদেশ' নামের পত্রিকা : স্বাধীনতার ৩৩ বছর আগের এক ঐতিহাসিক দলিল ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি বাতিল হওয়ার খবরটি ভুল : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নাতির কাছে কায়দা শিখছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর জামায়াত সেক্রেটারি পরওয়ারের বক্তব্য ঔদ্ধত্যপূর্ণ: এনসিপি ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস এ৩৩০ সম্পন্ন হলো আবু ত্বহা ও সাবিকুন নাহারের তালাক

‘মওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধন আজ


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচপীর বাজার-কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার সংযোগ সড়কের তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ আজ বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুর ১২টায় উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণলয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া এই সেতু উদ্বোধন করবেন। 

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর এলাকায় এবং কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী এলাকায় নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবিতে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের মানুষ আন্দোলন করে আসছিলেন। তাদের এই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করার জন্য নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  

এরপর ২০১২ সালে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। বাংলাদেশ সরকার (জিওবি), সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ওফিড) অর্থায়নে ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ সেতুর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে। চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এলজিইডির তত্ত্বাবধানে সেতুটি নির্মাণ করে। হরিপুর সেতু পয়েন্ট থেকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহর পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার সংযোগ সড়কও হচ্ছে। 

মোট ব্যয়ের মধ্যে মূল সেতু নির্মাণে ২৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। সড়ক নির্মাণে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, নদী ব্যবস্থাপনায় ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং জমি অধিগ্রহণে ৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ৩০টি স্তম্ভ বিশিষ্ট এই সেতুর মধ্যে ২৮টি স্তম্ভ নদীর ভেতরের অংশে এবং ২টি স্তম্ভ নদীর বাইরের অংশে। সেতুর উভয় পাশে নদী নিয়ন্ত্রণ করা হবে।  

স্থানীয়রা বলছেন, এই সেতুটি চালু হলে কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর, চিলমারী ও রৌমারী উপজেলা এবং গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা এবং এর সংলগ্ন উপজেলার কৃষকদের কৃষিপণ্য সময়মতো দেশের বড় বড় শহরে কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য পাঠাতে সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ