রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
আগুন-ককটেল হামলাকারীকে গুলির নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের রূপসায় হাতপাখার গণসংযোগে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে দেওয়া হবে না : নেতানিয়াহু বিশ্ব অপরিণত নবজাতক দিবস ২০২৫: জীবন রক্ষায় সচেতনতার নতুন অঙ্গীকার মাওলানা ফজলুর রহমানের সিলেট আগমন উপলক্ষে ইস্তেকবাল প্রস্তুতি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাস–ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৪ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসিকে ইসলামী আন্দোলনের ১২টি প্রস্তাবনা অপরাধ কমাতে প্রয়োজন সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা: ড. এম এ কাইয়ুম জমিয়তের সুধী সমাবেশ মঙ্গলবার, প্রধান অতিথি মাওলানা ফজলুর রহমান মারকাযু দিরাসাতিল ইকতিসাদিল ইসলামী পরিদর্শনে মুফতি তাকী উসমানীর সাহেবজাদা

‘রাজবাড়ীর ঘটনার দায় এড়াতে পারে না প্রশাসন’


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

|| শাব্বির আহমাদ খান ||

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে কবর থেকে কথিত সুফি সাধক নুরাল পাগলার লাশ উত্তোলন করে প্রকাশ্যে দাহ করার ঘটনা দেশজুড়ে চরম আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি করেছে। ধর্মীয়, সামাজিক ও আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে এই ঘটনার নৈতিকতা, বৈধতা ও দায়-দায়িত্ব নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে ইসলামি শরিয়তের আলোকে এ ঘটনা কতটা সমর্থনযোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন দেশের শীর্ষ আলেম সমাজ।

এই প্রসঙ্গে জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীম আবরার বলেন, ‘এই ঘটনায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। প্রথমত, এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায় প্রশাসনেরও রয়েছে। কারণ, স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছিলেন যে, নুরাল পাগলা শরিয়তবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন এবং মৃত্যুর পর তাঁর কবর কাবা শরিফের আদলে নির্মাণ করে তা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। কিন্তু প্রশাসন এসব অভিযোগ আমলে নেয়নি এবং কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।’

‘দ্বিতীয়ত, কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে পোড়ানো ইসলামে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ এবং এটি একটি জঘন্য, নিন্দনীয় ও অশোভন কাজ। শরিয়তের দৃষ্টিতে এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

এ বিষয়ে একমত পোষণ করে  মুফতি মাজেদুর রহমান বলেন, ‘না, শরিয়ত এই ধরনের কাজের কোনো অনুমোদন দেয় না। কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে তা দাহ করা চরমভাবে শরিয়তবিরোধী। তবে এই ঘটনার মূল দায় প্রশাসনের অবহেলায়ই তৈরি হয়েছে। এলাকার আলেম-ওলামা, সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ একাধিকবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর সমাধান আসেনি। ফলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ দানা বাঁধে এবং উত্তপ্ত জনমনে একটি মব তৈরি হয়, যার সুযোগ নেয় দুষ্কৃতকারীরা।’

দুজন আলেমই স্পষ্ট করে জানান, ইসলাম এমন কাজকে কখনোই সমর্থন করে না। তবে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি প্রতিরোধে প্রশাসনের সময়োপযোগী ও দূরদর্শী ভূমিকা রাখা প্রয়োজন ছিল, যা ঘটেনি বলেই পরিস্থিতি এই পর্যায়ে পৌঁছেছে।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ