বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহয়তা দিতে তথ্য নিচ্ছে জেলা প্রশাসন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যাওয়া মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তার জন্য তথ্য নিচ্ছে ঢাকা জেলা প্রশাসন।

শনিবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই বঙ্গবাজারে এনেক্সকো টাওয়ারের সামনে নিজ নিজ দোকানের তথ্য দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন শতাধিক ব্যবসায়ী। একে একে আরও ব্যবসায়ী আসছেন, লাইনও ক্রমান্বয়ে বড় হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চারদিন আগেও লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করেছি। আজ আমরা নিঃস্ব। সরকারি সহায়তার জন্য তথ্য দিতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। নিজের কাছে ছোট মনে হচ্ছে নিজেকে, লজ্জাও লাগছে। তবুও নিরুপায় হয়ে দাঁড়িয়ে আছি।

কথা হয় গুলিস্তান মার্কেটের ফাহাদ ফাহিম গার্মেন্টসের মালিক ফাহাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার তিনটি দোকান ছিল, গোডাউন ছিল। দোকানগুলো মাঝের দিকে হওয়ায় কোনো মালামাল বের করতে পারিনি। তিন দোকানের প্রায় ৫০ লাখ টাকার মাল (টি-শার্ট) পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দোকানের চিহ্নটুকুও নাই। আজ আমি নিঃস্ব।

কথা হলো জান্নাত গার্মেন্টসের মালিক কবির হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, এক কোটি টাকার মাল ঢুকেছে আগের রাতে, সকাল হতে না হতেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেল। আমার এক্সপোর্ট কোয়ালিটি জ্যাকেট ছিল সব। সব মিলিয়ে আমার ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকার মালামাল পুড়েছে। জানি এত পরিমাণ সহায়তা কেউ দিতে পারবে না। তবে সরকারের কাছে অনুরোধ করবো, ব্যবসা করার সুযোগটা আবার দিন। আমরা ব্যবসা করে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে চাই।

এ দিন ব্যবসায়ীরা নিজ দোকানের নাম, জেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া ফরম, জাতীয় পরিচয়পত্র, ট্রেড লাইসেন্স এবং দোকানের নাম বা দোকানের ভিজিটিং কার্ড এনেছেন অনেকেই। কারো কারো ট্রেড লাইসেন্স দোকানেই পুড়ে গেছে। তারা শুধু দোকানের ভিজিটিং কার্ড নিয়ে এসেছেন।

সকাল ৯টা ২০ মিনিটোর দিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসেন। সুশৃঙ্খল লাইনের ব্যবস্থা করতে সহযোগিতা করছেন পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

প্রসঙ্গত, এর আগে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৫০টি ইউনিট কাজ করে। তাদের সহায়তায় যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীসহ প্রায় সবগুলো বাহিনীর সদস্যরা।

-একে


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ