শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৮ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
১৬ মাসে কোরআনের হাফেজ কক্সবাজারের ওবায়দুল করিম আমরা কোরআনকে জাতীয় সংসদে নিয়ে যেতে চাই: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে শনিবার বিক্ষোভ করবে জামায়াত  প্রশাসনকে দ্রুততার সাথে বস্তুনিষ্ঠ ব্যবস্থা নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলন আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে মানিকগঞ্জ জেলায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  যারা আমাকে অপহরণ করেছে তাদের বাংলাদেশি মনে হয়নি জীবন দিলেও যদি চরিত্র না বদলায় তাহলে ভাগ্যও বদলাবে না: শায়খে চরমোনাই শ্রীমঙ্গলে বেওয়ারিশ কুকুরের আতঙ্ক: এক ঘণ্টায় তিন শিশু আহত ‘দুঃখজনক হলো ইসলামি অঙ্গন থেকে শক্তিশালী মিডিয়া গড়ার উদ্যোক্তা আমরা পাইনি’ ২৪ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি: সারজিস

পশ্চিমাদের বিদ্রূপাত্মক আক্রমণে আমরা শঙ্কিত হবো না: মুফতি তাকি উসমানি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শাহিনুর মিয়া।। হিযাবের এ নির্দেশ আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কোরআনে অবতীর্ণ করেছেন। হুযুর সা.-এর হাদীসসমূহে তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। তাঁর স্ত্রীগণ এবং মহিলা সাহাবীগণ আমল করে দেখিয়েছেন। আর এখন পশ্চিমারা প্রোপাগান্ডা শুরু করে দিয়েছে যে, মুসলমানরা নারীদের সাথে অমানবিক ব্যবহার করেছে, তাদেরকে চার দেয়ালে বন্দী করে বেখেছে।

তাদেরকে কার্টুন সাজিয়েছে। পশ্চিমাদের এসব তামাশা ও প্রোপাগান্ডার ফলে আমরা কী আল্লাহ ও তার রাসূল সা.-এর হুকুমকে ছেড়ে দেবো? যখন স্বয়ং আমাদের এ প্রত্যয় ও বিশ্বাস সৃষ্টি না হবে যে, আমরা রাসূল সা.-এর কাছ থেকে যে জীবনপদ্ধতি শিখেছি, তা-ই সত্য। তা নিয়ে কেউ তামাশা করতে চায়; করুক। গালি দিতে চায়; দিতে থাকুক।

এসব গালিতো মুসলমানদের গলার মালা। যে সকল আম্বিয়ায়ে কেরাম এ দুনিয়াতে তাশরীফ এনেছেন, তাঁদের সবাইকেই এ অপবাদ দেওয়া হয়েছিল যে, তাঁরা রুচিহীন মানুষ, সেকেলে পশ্চাতপদ; এরা আমাদের জীবনকে আনন্দহীন করতে চায় ইত্যাদি। এসব অপবাদ আম্বিয়ায়ে কেরামকেও তো দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং তোমরা যখন মু‘মিন তখন তোমরা আম্বিয়ায়ে কেরামের উত্তরসূরি। আর যেহেতু উত্তরাধিকারসূত্রে বিভিন্ন জিনিস পাওয়া যায়, সেহেতু এ ‘অপবাদ’ও তোমরা পাবে। তাই বলে শঙ্কিত হয়ে রাসূল সা.-এর বাতলানো জীবনপদ্ধতি তোমরা ছেড়ে দেবে? যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা.-এর উপর পূর্ণ আস্থা থাকে, তাহলে কোমরকে শক্ত কর, দৃঢ় হও।

মনে করুন, এসব অপবাদের ফলে তাদের কথাই মেনে নিলেন, তবুও কিন্ত তৃতীয় শ্রেণির শহরে-ই থেকে যাবেন। তারা বলে থাকে,‘নারীদেরকে গৃহকোণে বসিয়ে রেখো না। পর্দা তাদেরকে করিও না।’ আপনিও তাদের কথা মেনে সেভাবে চলতে শুরু করলেন।

নারীদেরকে ঘর থেকে বের করে দিলেন, তাদের নেকাব খুলে ফেললেন, ওড়নাও ছুঁড়ে ফেলে দিলেন, সবকিছুই হয়তো করলেন; তবুও তারা তোমাদেরকে তাদের লোক হিসেবে কী মেনে নিয়েছে? তেমন কোন সম্মান তোমাদের দেখিয়েছে কী? না! তারা তা করেনি! বরং তাদের দৃষ্টিতে এখনো তোমরা সেকেলে, অপ্রগতিশীল। এখনো তোমাদের নাম নিলে গালির সাথেই নেয়। এমনকি মাথা থেকে পা পর্যন্ত প্রত্যেক বিষয়ে যদি তাদের কথা মাথা পেতে নাও, তবুও তাদের দৃষ্টিতে তোমরা তৃতীয় শ্রেণির শহরেই থেকে যাবে।

তারই বিপরীতে যদি তোমরা মাত্র একটিবার এসব প্রোপাগান্ডার প্রতি গভীর দৃষ্টিপাত কর, যদি ভেবে দেখ যে, এরা তো আমাদের নিয়ে বিদ্রূপ, গালমন্দ করবে-ই, তবুও আমাদেরকে তো মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা.-এর নির্দেশিত পথেই চলতে হবে, তাঁর পবিত্র স্ত্রীগণের পথ ধরেই এগুতে হবে। সুতরাং হাজারও গালমন্দ আমাদেরকে বলুক না কেন, হাসি-তামাশা শত করুক না কেন, একদিন তো এমন আসবে, যেদিন আমরা তাদেরকে নিয়ে বিদ্রুপের হাসি হাসিবো। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে-

সূত্র: ইসলাহী খুতুবাহ

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ