সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ৬ পৌষ ১৪৩২ ।। ২ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংকে ১২৭ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন বিনা টিকিটে রেলওয়ে ভ্রমণ, এক দিনেই ১৪ লাখের বেশি টাকা আদায় সৌদি আরবে এক সপ্তাহে প্রায় ১৮ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার ফয়সালের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রচার করা কৌশল হতে পারে: রফিকুল ইসলাম দীপু চন্দ্র ও শিশু আয়েশাকে পুড়িয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ হেফাজতে ইসলামের রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে ভারতীয় আধিপত্যবাদের কবর রচিত হয়ে গেছে: পীর সাহেব চরমোনাই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে গ্রেপ্তার হান্নানের জামিন ওসমান হাদি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলেন : আইন উপদেষ্টা আল্লাহ আমাদের মক্কা ও মদিনার রক্ষক হওয়ার সম্মান দিয়েছেন : ফিল্ড মার্শাল মুনির

ইসলামের ইতিহাসে প্রথম ওমরাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: হিজরতের ষষ্ঠ বছর নবীজি সা. স্বপ্নে দেখেন, তিনি সাহাবিদের নিয়ে ইহরাম বেঁধে ওমরাহর জন্য মক্কায় প্রবেশ করছেন। নবীদের স্বপ্ন সত্য। তাই সাহাবিরা স্বপ্নের কথা শুনে ওমরাহর জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন এবং সাহাবিদের আশা-আকাঙ্ক্ষা নবীজি সা.-কেও উদ্বুদ্ধ করে। ফলে তিনি জিলকদ মাসে ওমরাহর জন্য ইহরাম বেঁধে বের হলেন।

তাঁর সঙ্গে স্ত্রী উম্মে সালমা রা.-সহ এক হাজার ৪০০ সাহাবিও ওমরাহর জন্য বের হন। এ সময় তিনি আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.)-কে মদিনায় প্রশাসক নিয়োগ করেন। জুলহুলাইফায় পৌঁছে তিনি ইহরাম বাঁধেন এবং কোরবানির পশুগুলোর গলায় মালা পরান। কোরবানির জন্য তারা ৭০টি উট সঙ্গে নেন।

মুসলিম কাফেলার উদ্দেশ্য ছিল নির্বিঘ্নে ওমরাহ করে চলে আসা। নবীজি সা. ইহরাম বেঁধে মক্কার মুশরিকদের বার্তা দিতে চেয়েছিলেন যে তিনি কোনো ধরনের সংঘাত চান না। তার পরও তারা মুসলিম কাফেলাকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিল। ফলে নবীজি (সা.) সাহাবিদের নিয়ে হুদাইবিয়ায় অবস্থান গ্রহণ করলেন। বহু আলোচনার পর উভয় পক্ষ এ বিষয়ে একমত হলো যে মুসলিমরা এ বছর ওমরাহ না করে ফিরে যাবে এবং পরের বছর তিন দিনের জন্য মক্কায় প্রবেশের অনুমতি পাবে।

চুক্তি অনুযায়ী পরের বছর তথা সপ্তম হিজরির শেষ ভাগে মুসলিমরা আগের বছরের কাজা আদায় করেন। এটাই ছিল হিজরতের পর নবীজি  সা. -এর প্রথম ওমরাহ। ইতিহাসবেত্তারা এই ওমরাহকে ‘ওমরাতুল কাজা’ নামে উল্লেখ করেছেন।

এই সফরে নবীজি সা.-এর সঙ্গে দুই হাজার সাহাবি অংশ নেন। তাঁরা আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র সঙ্গে নেন। তবে কুরাইশ প্রতিনিধি মিকরাজ বিন হাফসের অনুরোধে অস্ত্র মক্কার বাইরে রেখে যান। মুসলিমরা মক্কায় অবস্থানের সময় নিকটবর্তী পাহাড়ের চূড়ায় সরে যান।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ