শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিয়ে করতে যাওয়ার পথে বরকে ধরে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা ভাঙ্গায় ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ  ‘আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে সিরাতের বাস্তবায়ন জরুরি’ খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করতে পীর সাহেব চরমোনাইয়ের আহ্বান খুরশিদ আলম কাসেমীর বাবার ইন্তেকাল, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মহাসচিবের শোক ‘অভিভাবকরা স্কুল বাদ দিয়ে কওমি মাদরাসার দিকে ঝুঁকছেন’ চান্দিনায় কওমি মাদ্রাসা সংগঠনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন পিআর পদ্ধতি ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় : মাওলানা বোরহান উদ্দিন   বিশ্বের ৪৫০ প্রভাবশালী ইহুদির ইসরায়েলের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আহ্বান মহেশখালীতে মহানবী (সাঃ)-কে অবমাননার অভিযোগে উত্তম কুমার গ্রেফতার

'লাইফ ইন্সুরেন্স' প্রসঙ্গে দেওবন্দের ফতোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মানুষের স্বাভাবিক বা আকষ্মিক মৃত্যুতে পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নিশ্চয়তা প্রদানে প্রতিষ্ঠিত জীবন বীমা। এতে ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য বীমা করে। এর মধ্যে কিস্তিতে সে একটি নির্দিষ্ট হারে প্রিমিয়াম পরিশোধ করে। আমরা অনেকেই জীবন বীমা বা লাইফ ইন্সুরেন্স করে থাকি।

সম্প্রতি ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগে ইসলামের দৃষ্টিতে ইন্সুরেন্স বা জীবন বীমা জায়েজ আছে কিনা জানতে চেয়ে জৈনক এক ব্যক্তি প্রশ্ন করলে দারুল উলুমের ইফতা বিভাগ থেকে জীবনা বীমা নাজায়েজ বলে ফতোয়া দেওয়া হয়েছে।

ওই ব্যক্তি তার প্রশ্নে বলেন, একটি কোম্পানি দাঁড় করাতে আমার অনেক টাকা ঋণ হয়ে গেছে। ব্যাংক থেকেও কিছু ঋণ নিয়েছি। এখন কিছু কিছু পরিশোধ করছি। কিন্তু কখনো কখনো অন্তরে এ খেয়াল আসে। যদি কোনো দূর্ঘটনা ঘটে যায়? এমন সময় আমার এক বন্ধু একটি লাইফ ইন্সুরেন্স করার পরামর্শ দেয়।

[caption id="attachment_175956" align="aligncenter" width="300"] বই কিনতে ক্লিক করুন[/caption]

আমার বন্ধু আমাকে বলেছেন, একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রতিমাসে কোম্পানিকে কিস্তি দিতে হবে। যদি এর মাঝে কোনো দূর্ঘটনা ঘটে যায়, যেমন ইন্তেকাল হয়ে যাওয়া। তাহলে কোম্পানি থেকে বড় অংকের টাকা পাবে। আর যদি কোনো দূর্ঘটনা না ঘটে তাহলে কোম্পানি থেকে কোনো টাকাও পাবে না। আর কোনো লভ্যাংশও পাবে না। আমার জানার বিষয় হলো, এই ইন্সুরেন্স করা বৈধ নাকি অবৈধ?

এই প্রশ্নের উত্তরে দারুল উলুম দেওবন্দ বলে, আপনার বন্ধু যে পরামর্শ দিয়েছে সেটা ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক জায়েজ নেই। ইন্সুরেন্সের সিস্টেমে জুয়া এবং সুদও থাকে। আর এ উভয়টিকে পবিত্র কুরআনে হারাম করা হয়েছে। এ কারণে ইন্সুরেন্স করা জায়েজ নেই।

ফতোয়া প্রদানে- ইফতা বিভাগ, দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ