মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ ।। ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৬ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
‘জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে না পারা এই সরকারের বড় ব্যর্থতা’ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে নতুন আইন ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের আহ্বান ইরানি সুন্নি আলেমদের মিশরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের গৌরবময় অর্জন আফগানিস্তানে অনৈসলামিক কার্যকলাপের অভিযোগে গুঁড়িয়ে দেয়া হল মাজার দুঃখ প্রকাশ না করা পর্যন্ত শান্তি পাবে না: আ. লীগকে শফিকুল আলম জুলাই বিক্রি হয়ে গেছে : আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান আলিম পরীক্ষায় শেখ মুজিবকে নিয়ে প্রশ্ন, ছাত্রদের ক্ষোভ প্রকাশ হাসিনা ও তার দলের প্রতি আপনাদের মনোযোগ যথাযথ না থাকলে ইনসাফ হবে না মুজিববাদী সংবিধান ফেলে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে: আখতার হোসেন

টেকসই উন্নয়নের পাশ্চাত্য ও ইসলামি দৃষ্টিকোণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হাছিব আহমদ

উন্নয়নের ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি ।। অনুযায়ী পৃথিবীতে মানুষ আল্লাহর প্রতিনিধি। মানুষ যে সম্পদ ভোগ করে, ইসলামের দৃষ্টিতে তার প্রকৃত মালিক হলেন আল্লাহ,তিনি মানুষকে অন্য সব সৃষ্টির চেয়ে বেশি মর্যাদাবান ও সম্মানিত করেছেন এবং পৃথিবীর সব কিছু মানুষের আওতাধীন করেছেন যাতে মানুষ তার প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে পারে।

পশ্চিমাদের দৃষ্টিতে টেকসই উন্নয়ন বলতে কেবল ভোগ ও মুনাফা অর্জনকেই বুঝায়,পাশ্চাত্য রেনেসার পর ভোগবাদী ও মুনাফাকামী নীতি গ্রহণ করে এবং মানুষকে চরম ভোগবাদী হতে উৎসাহ দেয়।

এ বিষয়টি অর্থনৈতিক তৎপরতায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। পাশ্চাত্য উন্নয়ন সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গিতে মানুষের বৈষয়িক চাহিদাগুলো মেটানোর ক্ষেএে চরমপন্থা গৃহীত হওয়ায় ভোগবাদ লাগামহীন ভাবে বেড়েছে। এর ফলে অনেক কৃত্রিম বা অপ্রয়োজনীয় চাহিদা সৃষ্টি করা হচ্ছে। আর এই চরমপন্হা বা বাড়াবাড়ি বিভিন্ন ধরনের আধ্যাত্বিক ও নৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছে।

পাশ্চাত্য টেকসই উন্নয়ন মডেলে যান্ত্রিকতাবাদ বা মেশিনিজমের মোকাবেলায় মানুষের মর্যাদা ও ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এটাই টেকসই উন্নয়ন সম্পর্কিত ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গির সাথে পশ্চিমা উন্নয়ন মডেলের প্রধান বা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য।

ইসলামে টেকসই উন্নয়ন ব্যাপক অর্থবোধক ও বিস্তৃত এবং তা নৈতিক দিকসহ অাধ্যাত্নিক ও বস্তুগত দিকগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে যা ইসলামি দৃষ্টিকোন থেকে চমকপ্রদ ইঙ্গিত বলে আমি মনে করি।

এ কারনেই একে পশ্চিমা উন্নয়ন মডেলের বৈশিষ্ট্য থেকে সহজেই পৃথক করা যায়। পুঁজিবাদী সমাজ শুধু মুনাফাকামিতা ও বস্তুগত চাহিদা পুরনকেই টেকসই উন্নয়নের মুল লক্ষ্য নির্ধারণ করে, কিন্তুু ইসলাম গঠনমুলক উৎপাদনের পাশাপাশি মানবীয় মুল্যবোধ রক্ষা করাকেও টেকসই উন্নয়নের অন্যতম প্রধান টার্গেট ও উদ্দেশ্য হিসেবে গ্রহণ করে।

লেখক: তরুণ কলামিস্ট,মানারাত আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ