বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

নবীর স্ত্রী কাফের কেনো? হজরত থানবী রহ. যে উত্তর দিয়েছিলেন!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুযযাম্মিল হক উমায়ের

আল্লামা থানবী রাহিমাহুল্লাহু তাআলার কাছে একলোক প্রশ্ন করলো, হযরত! অনেক নবীদের স্ত্রী কাফের ছিলো এই বিষয়টি কী দোষণীয় নয়?

এই প্রশ্নের উত্তরে আল্লামা থানবী রাহিমাহুল্লাহু তাআলা বললেন, দেখুন! আল্লাহ তাআলা নবীগণকে এমন দোষত্রুটি থেকেও পবিত্র রাখেন, যে দোষটি সামাজিকভাবে দোষ।

এর কারণ হলো, নবীগণের দায়িত্ব হলো, দীনের তাবলীগের কাজ। আর তাবলীগের কাজ লোকজনের উপর প্রভাব ফেলার জন্যে জরুরী হলো, মুবাল্লিগণের প্রতি লোকজনের মহত্ব ও বড়ত্ব ফুটে ওঠা।

লোকজনের অন্তরে তাঁদের সম্মান—মর্যাদা থাকা। আর এইসব গুণ সামাজিক যে দোষে নষ্ট হয়ে যায়, সামাজিক সেই দোষগুলোর মধ্যে একটি দোষ হলো, স্ত্রী বদমেজাযী হওয়া। ব্যভিচারী হওয়া। নির্ললজ্জ হওয়া। এই কারণে আল্লাহ তাআলা নবীগণকে এই সামাজিক দোষ থেকে হেফাজত করেছেন।

কোন নবীর স্ত্রী এই দোষে দোষী ছিলো না। তবে অনেক নবীর স্ত্রী যে কাফের ছিলো সেটি সামাজিকভাবে দোষের কিছুই ছিলো না। কারণ, তখন পরিবেশ ও সামাজিকভাবে কুফুরকে দোষের কিছু মনে করা হতো না। কারণ, তাদের কাছে ইসলাম গ্রহণ করাটা ছিলো পরিবেশ ও

সামাজিকভাবে দোষের। এই কারণে অনেক নবীর স্ত্রী কাফের ছিলো। সুতরাং নবীগণের স্ত্রী কাফের হওয়া সেটি তাবলীগের কাজের প্রতিবন্ধক ছিলো না। [মূলসূত্র: আল-ইফাজাতুল ইয়াওমিয়্যা: খন্ড—৯, পৃষ্ঠা—২১]

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ