মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
চট্টগ্রামে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের মতবিনিময় সভা জুলাই আন্দোলনের অগ্রসেনানী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ খুলনায় হাতপাখার সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির জরুরি বৈঠক সার্বিক উন্নয়ন ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই: হাফিজ ফখরুল ইসলাম ফরিদপুরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর প্রচারণার গেট ও ব্যানার ভাঙচুর  জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে: এ টি এম মাছুম জামায়াত আমিরের আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যিনি খালেদা জিয়াসহ ৯ নারী পেলেন বিএনপির মনোনয়ন ২৩৭ আসনে বিএনপির ধানের শীষ পেলেন যারা নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলায় মতিউর রহমান আকন্দ নিন্দা

ক্ষমার শক্তি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবু সাঈদ

অন্যের ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা অনেক বড় গুণ। এর শক্তি ও উপকারিতা অনেক। ক্ষমাকারীর চেয়ে ভুলকারী প্রভাবশালী হোক বা দুর্বল, ক্ষমা তার উপকারিতা বয়ে আনবেই। সমীকরণটি এভাবে বুঝতে পারি, ভুলকারী ব্যক্তি যদি প্রভাবশালী হয়, সেক্ষেত্রে মাজলুমের কিছুই করার থাকে না। কেবল দুঃখের অনলে জ্বলতে থাকে।

অনেকে অবশ্য খুঁজতে থাকে প্রতিশোধ গ্রহণের পথ। সে সুযোগ সাধারণত অধরাই থেকে যায়। এক্ষেত্রে ক্ষমার মানসিকতা মজলুমকে দিতে পারে নিদারুণ মনোঃকষ্ট থেকে মুক্তি। তার মাঝে ফিরিয়ে আনতে পারে মানসিক স্বস্তি। যা ব্যক্তির জন্য খুবই জরুরী। আল্লাহ তাআলা ক্ষমাকে ভালোবাসেন। তাই আশা করা যায়, আল্লাহ তাআলার কাছেও সে এর প্রতিদান প্রাপ্ত হবে।

আর ভুলকারী যদি দুর্বল হয়, ক্ষমাকারী হয় প্রবল, সেক্ষেত্রে ক্ষমার সুফল আরো বেশি। ক্ষমা প্রাপ্ত হয়ে ভুলকারী লজ্জিত হয়। ক্ষমাকারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। তার উদারতার কাছে সে গলে যায়। আগামীতে ক্ষমাকারীর সাথে মেপে চলার চেষ্টা করে। সবসময় তার ভেতরে একটা অপরাধবোধ কাজ করে। যা তাকে পরিশীলিত হতে সাহায্য করে।

তবে এর ব্যতিক্রম যে নেই, বলা যায় না। কোন কোন অপরাধী ক্ষমা পেয়ে আরো উদ্ধত হয়। উদারতাকে সরলতা জ্ঞান করে। অপরাধ বোধ বলতে কিছু তাদের মাঝে থাকে না। সেক্ষেত্রে আবার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। মাঝেমধ্যে উত্তম-মধ্যমেও হতে হয় সিদ্ধহস্ত। তার জন্য সুনিপুণভাবে ব্যক্তির প্রকৃতি বুঝতে হয়। যেন অনাকাঙ্খিত কোন পরিস্থিতির শিকার না হতে হয়।

আমাদের সমস্যা হলো, ব্যক্তি চিনতে আমরা ভুল করি। অপাত্রে উদারতা দেখিয়ে ফেলি। ফলে প্রতারিত হতে হয়। তখন আমাদের মনোভাবে পরিবর্তন আসে। আর ব্যক্তি প্রভেদের প্রয়োজন বোধ করি না। সবার সাথে সমান আচরণ করি।

এতে আশপাশের মানুষ আশাহন হয়। ভীষণ বিরক্ত হয়। নিদারুণ কষ্ট বোধ করে। ধীরে ধীরে বন্ধুত্বের আবহ কমে যেতে থাকে। তখন বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। এর জন্য কিন্তু অন্যরা দায়ী নয়। দায়ী আপনার নির্বাচন অদক্ষতা। এজন্য আচার-আচরণে ভারসাম্যতা রক্ষা করতে হয়। দিতে হয় নিপুণতার পরিচয়।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ