চলমান সংঘাতে ইসরাইলের হত্যার হুমকির মুখে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে তিনজন ধর্মীয় নেতার নাম ঘোষণা করেছেন। খামেনি তার জীবন এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্রের নেতৃত্ব কাঠামো উভয়ই রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
শনিবার (২১ জুন) দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদুলু এজেন্সি এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খামেনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম স্থগিত করেছেন এবং নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া, তাকে শনাক্তকরণ এড়ানোর জন্য একজন ‘বিশ্বস্ত সহকারী’ মারফত তিনি কমান্ডারদের সঙ্গে কথা বলছেন।
জানা গেছে, খামেনির ঘোষিত তিনটি নামের মধ্যে তার ছেলে মোজতবার নাম নেই, যদিও আগে প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, খামেনির ছেলে মোজতবাকে এই দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৮৬ বছর বয়সী খামেনি সচেতন যে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্র তাকে হত্যা করতে পারে, এবং এ ঘটনার পর তিনি নিজেকে শহীদ হিসেবে বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে, খামেনি ইরানের পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ধর্মীয় সংস্থা বিশেষজ্ঞ পরিষদকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তার ব্যক্তিগতভাবে নির্ধারিত তিনটি নাম থেকে একজন উত্তরসূরি নির্বাচন করার কথা বলেছেন।
তবে, খামেনির প্রস্তাবিত তিনজনের নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে, ইরানে নতুন সর্বোচ্চ নেতা নিয়োগের প্রক্রিয়া সাধারণত কয়েক মাস সময় নেয়, কারণ এতে বিভিন্ন প্রার্থী থাকে এবং ব্যাপক আলোচনা হয়। তবে বর্তমানে দেশটি যুদ্ধের মধ্যে থাকায়, কর্মকর্তারা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, খামেনি ইসলামি প্রজাতন্ত্র এবং তার উত্তরাধিকার সুরক্ষিত রাখতে দ্রুত ও নিয়ন্ত্রিত স্থানান্তর নিশ্চিত করতে চান।
এদিকে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আয়াতুল্লাহ খামেনি বর্তমানে একটি বাঙ্কারে অবস্থান করছেন এবং প্রয়োজনে তার সামরিক চেইন অব কমান্ডের মাধ্যমে তার স্থলাভিষিক্তদের নির্বাচন করেছেন। শত্রুর হাতে নিহত হলে, সর্বোচ্চ নেতার পদ গ্রহণের জন্য তিনজন জ্যেষ্ঠ ধর্মীয় নেতার নামও ঘোষণা করেছেন তিনি।
এমএইচ/