সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৮ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জুলাই আন্দোলনের অগ্রসেনানী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ খুলনায় হাতপাখার সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির জরুরী বৈঠক সার্বিক উন্নয়ন ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই: হাফিজ ফখরুল ইসলাম ফরিদপুরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর প্রচারণার গেট ও ব্যানার ভাঙচুর  জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে: এ টি এম মাছুম জামায়াত আমিরের আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যিনি খালেদা জিয়াসহ ৯ নারী পেলেন বিএনপির মনোনয়ন ২৩৭ আসনে বিএনপির ধানের শীষ পেলেন যারা নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলায় মতিউর রহমান আকন্দ নিন্দা বস্ত্রহীন ঘুমানোর হুকুম কী ?

মিয়ানমারেও কমছে মুদ্রার মান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয় গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি। এর মাত্র এক বছরের মাথায় দেশটির ভেতরে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ স্থানচ্যুত হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ তাদের খাদ্য ও চিকিৎসা খরচ বহনের সক্ষমতা হারিয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে, নারীরা তাদের মাসিক ঋতুকালের জন্য দরকারি স্যানিটারি প্যাড জোগাড় করতে পারছে না। এতে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে তারা।

আজ শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন বলছে, মিয়ানমারের মুদ্রার মান কমছে। বাজার সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। একদিকে তেলের দাম বাড়ছে, অন্যদিকে বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম।

এদিকে সংঘাতপূর্ণ এলাকায় স্থানীয় বাজার বন্ধ হয়ে গেছে। দোকানে পণ্য সরবরাহ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। জরুরি পণ্য পরিবহনও বন্ধ করে দিয়েছে সেনাবাহিনী। তারা এটি করছে যাতে সশস্ত্র প্রতিরোধ দলের সদস্যরা খাবার না পেয়ে আস্তানা থেকে বেড়িয়ে আসে।

মিয়ানমারের নারীরা আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, চলমান পরিস্থিতিতে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটারি প্যাড পেতে সমস্যা হচ্ছে। প্যাডের দাম ক্রমবর্ধমানভাবে তাদের বাজেটের বাইরে চলে গেছে। এছাড়া নারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সুযোগও কমে গেছে।

প্রতিবেদনে নারীদের মাসিকের সময় মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর সামর্থ্য কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে আবাসিক এলাকায় সেনাদের হামলা, চলমান অস্থিরতা এবং বাস্তুচ্যুতির ঘটনা।

কলম্বো বিশ্ববিদ্যালয়ের গণস্বাস্থ্য গবেষক ম্যাগি স্মিত ২০১৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটির সঙ্গে কাজ করছেন। তিনি বলেন, বাস্তুচ্যুত নারীরা রজ:স্রাবকালের দরকারি সামগ্রী কিনতে পারছেন না। যারা কিনতে পারছেন তারা সবাই নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পণ্য পাচ্ছেন না। এছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন টয়লেটেরও অভাব রয়েছে।

মিয়ানমারে ১৬ লাখ মানুষ ২০২১ সালে করোনা মহামারি ও সেনা অভ্যুত্থানের কারণে কাজ হারিয়েছে। সশস্ত্র সংঘাতের কারণে অনেক কৃষক ও শ্রমিক কাজ করতে পারছে না। গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘ অনুমান করেছিল, এ বছরের শুরুর দিকেই মিয়ানমারের প্রায় অর্ধেক মানুষের দৈনিক আয় মাত্র এক ডলারেরও নিচে নেমে যাবে।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর অং সান সু চিসহ দেশটির অনেক রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অনেকে আত্মগোপনে চলে যান। দেশটিতে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে এক বছরের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে। এই বিক্ষোভ-প্রতিবাদে জান্তার হাতে দেড় হাজারের বেশি বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে কয়েক হাজার।

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ