শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫ ।। ৮ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৯ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ভোলায় উপজেলা সহকারী কমিশনার’র বদলি ঠেকাতে মানববন্ধন  শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে ব্যবহার জুলুম: জাতীয় মসজিদের খতিব সময় টিভির সাংবাদিকদের ওপর হামলায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নিন্দা ডাকসু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হলে সব জানিয়ে দেব: ঢাবি ভিসি নয়া দিগন্তের সাবেক সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনের ইন্তেকাল এসএসসি পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠান সম্পন্ন  কাতারে বাংলাদেশি কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিলো ইসলামী আন্দোলন নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও সচেতনতায় গঠিত ‘ইনসাফ’-এর আত্মপ্রকাশ চার বিভাগে অতিভারি বর্ষণের শঙ্কা দ্বিপক্ষীয় সফরে ঢাকায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার

কারসাজি করে দাম বাড়ালে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিশ্ববাজার প্রেক্ষাপটে দেশে কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত পণ্য মজুদ করার মাধ্যমে কারসাজি করে কেউ দাম বাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা না করে সরাসরি দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে লাইসেন্স বাতিলেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটে এক মতবিনিময় সভায় এ হুঁশিয়ারি দেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের নেতারা। ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মজুদ, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি বিষয়ে মতবিনিময়’ এই সভার আয়োজন করে এফবিসিসিআই।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর থেকে বিশ্ববাজারে খাদ্য ও ব্যবহার্য পণ্যের দামে অস্থিরতা তৈরি হয়। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। ফলে ভোজ্যতেল, আটা, ময়দা, মাংস, ডিম, দুধ, কসমেটিক্স পণ্য, চিনি, মশলা থেকে শুরু করে বেশির ভাগ পণ্যের দাম বেড়েছে। এতে বেশি লাভের আশায় কেউ কেউ অতিরিক্ত মজুদ করে সংকট সৃষ্টি করছে। সংকটের কারণ ও দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিভিন্ন বাজারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করছে এফবিসিসিআই।

সম্প্রতি বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের মজুদ নিয়ে গ্যাজেট প্রকাশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গ্যাজেট অনুযায়ী, পাইকারি পর্যায়ে চাল ৩০০ টন, গম ২০০, চিনি ৫০, ডাল ৪০ ও ভোজ্যতেল ৩০ টন মজুদ রাখা যাবে। দোকানে এসব পণ্য রাখা যাবে সর্বোচ্চ ৩০ দিন। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে চাল ১৫ টন ও গম ১০ টন সর্বোচ্চ ১৫ দিনের জন্য মজুদ রাখা যাবে। চিনি, ডাল ও ভোজ্যতেল ৫ টন করে সর্বোচ্চ ২০ দিন রাখা যাবে।

এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার মোহাম্মদপুরে আয়োজিত সভায় সংগঠনটির পরিচালক আবু মোতালেব বলেন, পণ্যের মজুত নিয়ে ব্যবসায়ীরা কারসাজি করলে তাদের শুধু জরিমানা করা হবে না, ভবিষ্যতে তাদের লাইসেন্স বাতিল ও দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। যাতে তারা আর ব্যবসা করতে না পারেন।

সম্প্রতি সয়াবিন তেল মজুদ করে বাজারে এক ধরনের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছিল কিছু ব্যবসায়ী। সংকটের কারণ খুঁজতে গিয়ে সারাদেশেই বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে অনেক ব্যবসায়ীকে শাস্তির আওতায় এনেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সংগঠনটির বাজার মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে বাজারে মশলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। কিন্তু সরবরাহে কোনো সংকট নেই। বিশ্ববাজারকে ইস্যু করে কেউ পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে এফবিসিসিআই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।

ভোজ্যতেলের বিষয়ে তিনি বলেন, সয়াবিন তেলের বাজারে অস্থিরতা রোধে ১৫ দিন পর পর দাম সমন্বয় করার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছিল এফবিসিসিআই। কিন্তু সর্বশেষ দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পর ২২ দিন পেরিয়ে গেলেও দাম আর সমন্বয় করা হয়নি। তেল নিয়ে আবার কোনো অস্থিরতা হলে তার দায় ব্যবসায়ীদের থাকবে না।

এ সময় মোহাম্মদপুর টাউন হল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাঁচাবাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. লুৎফর রহমান (বাবুল) জানান, যেসব দোকানি পণ্য মজুদ ও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করার চেষ্টা করেছেন, সমিতি তাদের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে।

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ