মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ ।। ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৬ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
‘জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে না পারা এই সরকারের বড় ব্যর্থতা’ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে নতুন আইন ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের আহ্বান ইরানি সুন্নি আলেমদের মিশরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের গৌরবময় অর্জন আফগানিস্তানে অনৈসলামিক কার্যকলাপের অভিযোগে গুঁড়িয়ে দেয়া হল মাজার দুঃখ প্রকাশ না করা পর্যন্ত শান্তি পাবে না: আ. লীগকে শফিকুল আলম জুলাই বিক্রি হয়ে গেছে : আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান আলিম পরীক্ষায় শেখ মুজিবকে নিয়ে প্রশ্ন, ছাত্রদের ক্ষোভ প্রকাশ হাসিনা ও তার দলের প্রতি আপনাদের মনোযোগ যথাযথ না থাকলে ইনসাফ হবে না মুজিববাদী সংবিধান ফেলে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে: আখতার হোসেন

আজকাল রক্ষণশীল পরিবারে বয়স হওয়ামাত্র বিয়ে করিয়ে দেয়ার একটা আলাপ উঠছে...

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হুযাইফাহ কাসিম।।

আমরা তিন ভাই বিবাহ করেছি। বিবাহের অন্যান্য খরচ আমাদের আব্বা বহন করেছেন। কিন্তু মোহরের অর্থ আমরা বহন করবো, নিজ নিজ পরিবারের খরচও আমাদের। আব্বা চাইলে এটা বহন করতে পারতেন, সেই সামর্থ্য তাঁর ছিলো। এখানেই আমার কথা।
.
আজকাল রক্ষণশীল পরিবারে বয়স হওয়ামাত্র গোনাহ থেকে বাঁচানোর জন্য বিয়ে করিয়ে দেয়ার একটা আলাপ উঠছে। বিয়ের যাবতীয় খরচ ছেলের বাবা বহন করবে আর বিয়ের পর সে সস্ত্রীক বাপের কান্ধে সওয়ার হবে। সামর্থ্যবান বাবা এতে কোন সমস্যা দেখেন না। অথচ এখানেই যত সমস্যা।
.
যে ছেলের মোহর পরিশোধ করে বাবা, নিজ স্ত্রীর প্রতি তার দায়বদ্ধতা কতটুকু থাকে! তখন এককথায় তালাক দিতে গায়ে লাগে না।

নিজের ঘাম ঝরানো টাকার জিনিস আর মুফতে পাওয়া জিনিসের প্রতি টান কিন্তু সমান হয় না। ব্যাপারটা এখানেই।
আবার যে সংসার চলে বাপের খরচে সেখানে বাপ-মার হস্তক্ষেপ তো হতেই পারে এবং হয়ও। প্রায় সময় অন্যায় হস্তক্ষেপের কথা শোনা যায়।

সুতরাং উত্তম হলো নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে বিয়ে করা। বাপের কান্ধে সওয়ার হয়ে নয়।
.
নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মানে ৩০+ বয়স নয়। ইচ্ছা থাকলে ২০ বছরেও সম্ভব।

এটা সচেতন বাবার দায়িত্ব। শুরু থেকেই যদি এই ধারণা বদ্ধমূল করে দেওয়া যায়। তাহলে পড়াশোনায় সে মনোযোগী হবে, কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা অর্জন করবে, পাশাপাশি নিজের যোগ্যতা ও রুচিমাফিক কিছু কাজ শিখবে হতে পারে সেটা গ্রাফিক্স বা ড্রাইভিং।
.
কিন্তু সমস্যা হলো আমাদের দেশের পরিবার ব্যবস্থা। এখানে বাবা ধনী মানে ছেলেও ধনী, বাবা নেতা মানে ছেলেও নেতা, বাবা পীর মানে ছেলেও তাই।

বাপের এই বিস্তৃত হোটেলের সবচে বড় পরিণাম হলো, ছেলের আর মানুষ হওয়া হয়ে ওঠে না। দরসে বড়লোক বাপের ছেলেটাকে সবচে অমনোযোগী দেখি। কারণ বাবা বুঝিয়ে দিয়েছেন, 'আমার অঢেল আছে, তোর খাওন লইয়া কোন টেনশন নাই।' ব্যস, আর কী লাগে!
.
মনে পড়ে, আমি তখন ছোট, জামি'আ রাহমানিয়ায় হিফয পড়ি। একবার সাপ্তাহিক মজলিসে (সম্ভবত সেটা সোমবারে হতো।) কোন একজন উস্তাদ দামাত বারাকাতুহুম বলেছিলেন, এক ইংরেজ পরিবার কোথাও বেড়াতে গিয়েছে। পথে নাস্তা করবে, বাবার বেশি অর্থ আছে দামি নাস্তা করছে, ছেলের সামান্য অর্থ আছে তাই সামান্য কিছু কিনে খাচ্ছে। এটা নিয়ে কারও কোন অভিযোগ নেই।

তারা আমাদের উপমহাদেশের পরিবার ব্যবস্থা দেখে মন্তব্য করে, 'এক গাধা দশ গাধাকে টেনে নিয়ে যায়।'
.
এখন আলাপ উঠবে একান্নবর্তী পরিবার নিয়ে। বিয়ের পর আলাদা হয়ে যাবে, না একসাথে থাকবে?!
একান্নবর্তী পরিবারে একটা আনন্দ আছে, আবেগ আছে, পরিবার প্রধানের অখণ্ড একটা রাজত্ব আছে, রাজা রাজা অনুভূতি আছে তবে...

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ