রবিবার, ১১ মে ২০২৫ ।। ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১৩ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দুর্ভিক্ষের শঙ্কা, মুসলিম বিশ্বকে গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান খামেনির রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ আ.লীগের নিবন্ধন বাতিল হবে কিনা, আসছে সিদ্ধান্ত... চ্যাটজিপিটি দিয়ে যেসব কাজ করা যায় না পাকিস্তানের পাল্টা হামলার মাত্রা দেখে হতবাক হয়ে পড়ে ভারত : সিএনএন ২০ বছর পার, আর কতদিন মহাসচিব থাকবেন আহমদ আব্দুল কাদের? ফেসবুকে পোস্ট কিংবা রাস্তায় জনদুর্ভোগ করে নয়, নির্বাচন দিলেই আ.লীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে: দুদু বিজ্ঞ ব্যক্তিরা যে ৫ কৌশলে মূর্খের সঙ্গে তর্ক এড়িয়ে চলেন বন্ধ হচ্ছে আওয়ামী লীগসংশ্লিষ্ট সব পেজ! তীব্র তাপপ্রবাহে হিটস্ট্রোক এড়াবেন যেভাবে

চলে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত আলেম মুফতি আবুল কালাম রহমানি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইতিহাস রচনা করার জন্য জন্ম হয়েছিলো ক্ষণজন্মা এ আলেমের। তার লেখনীতে সমাজের সাধারণ ধারাকে আমূল পরিবর্তন করতে অনেকটাই নির্ভর করেছে। পশ্চিমবাংলার এমন এক প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ছিলেন বাসন্তীর মাওলানা আবুল কালাম রহমানি।

তিনি একাধারে যেমন সুবক্তা ও শিক্ষক হিসাবে পরিচিত ছিলেন। অন্যদিকে লেখক হিসাবে বেশ প্রসিদ্ধও ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় এমন মহান ব্যাক্তি ৮১ বছর বয়সে নিজ বাসভূমি বাসন্তীতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর ইন্তেকেলার সংবাদে শোকের ছায়া নিজ আত্মীয় ও ভক্ত মহলে।

মরহুম আবুল কালাম রহমানি বাঁটরা মাদ্রাসা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের মধ্যদিয়ে শিক্ষা যাত্রা শুরু করেছিলেন। পরে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য উত্তরপ্রদেশে দারুল দেওবন্দ থেকে দ্বীনি শিক্ষা অর্জন করেন।

আলিমিয়াত ডিগ্রি অর্জনের পরে তিনি কলকাতার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে এম,এফ অর্থাৎ মুমতাজুল ফুকাহ ডিগ্রী অর্জন করেন। আলিয়ার পাঠ শেষ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম,এ ডিগ্রী অর্জন করে সঙ্গে বি,এড প্রফেশনাল ডিগ্রী অর্জন করেন। ছাত্র জীবনে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সর্বভারতীয় সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানির সহপাঠী ছিলেন।

মরহুম আবুল কালাম রহমানি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপ্তের পরেই বাঁটরা মসজিদে ইমামতির মাধ্যমে কর্মজীবনের শুরু করেন। পরে বাসন্তী উচ্চমাধ্যমিক হাই স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এমনকি তিনি দীর্ঘ দিন ধরে তিনি বাসন্তীর ব্লকের কাজীর পদও সামলান।

এলাকার শিক্ষার প্রদীপ জ্বালাতে মরহুম আবুল কালাম রহমানি ১৯৬৮ সালে নিজ হস্তে এক বাসন্তীতে মাদ্রাসাও স্থাপন করেন তিনি। এছাড়াও তিনি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি এক সময়ে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের জেলা সভাপতিও ছিলেন তিনি।

মওলানা আবুল কালাম রহমানি তার জীবদ্দশায় প্রায় ১৪টি বইও রচনা করেন তিনি। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলী হল- ১. বায়ানুল মুবাল্লেগিন। ২. মরণ তুমি কেমন। ৩. যুগের আবু জেহেল। ৪. সালাতুল মু’মিনিন। ৫. কেমনে করিব হজ্ব সহ অন্যান্য গ্রন্থ। এক সময় ‘বায়ানুল মুবাল্লেগীন’ গ্রন্থটি খুবই প্রসিদ্ধ লাভ করেছিল।

গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় নিজ বাসভূমি বাসন্তীতে জানাজার নামাজে হাজারও মানুষের জমায়েত লক্ষ্য করা গেছে। উপস্থিত জনতা তাঁর পরবর্তী জীবনে মাগফেরাত (ক্ষমা) কামনা করে মরহুম আবুল কালাম রহমানিকে শেষ বিদায় জানায়।

ওআই/আবদুল্লাহ তামিম


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ