শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
তীব্র গরমে আলোকিত মানিকছড়ি জনকল্যাণ সংস্থার প্রশংসনীয় উদ্যোগ ফরিদপুরের দুই শহীদ পরিবারের পাশে হেফাজত নেতৃবৃন্দ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির ৭৫ নেতা বহিষ্কার ছাদ থেকে পড়ে মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু টানা তাপপ্রবাহে ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষায় রেলওয়ে কর্মকর্তাদের ৫ নির্দেশনা ‘বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের সুযোগ রয়েছে’  মন্দিরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে তদন্তভিত্তিক বিচারের দাবি ইসলামী আন্দোলনের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে বিএনপির শিক্ষা নেওয়া উচিত: কাদের থাইল্যান্ডের রাজা-রানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

আসছে ওয়াজের মৌসুম: আলোচ্য বিষয় নিয়ে কী ভাবছেন বক্তারা?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী। একাধারে তরুণ আলেম, লেখক, উপস্থাপক ও বিষয়ভিত্তিক ওয়াজে পারদর্শী। টিভি আলোচক। সাম্প্রতিক ওয়াজের হালচাল নিয়ে আলাপচারিতায় তার মুখোমুখি হয়েছিলেন আওয়ার ইসলামের বিশেষ প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান। তাদের আলাপচারিতায় উঠে এসেছে ওয়াজের নানান দিক।


আমাদের সামনে সিরাতের মাস, সিরাতের আলোচনার বিষয় কেমন হতে পারে বলে মনে করেন?

ধন্যবাদ আপনাকে। আমি মনে করি, কেবল সিরাত মাস উপলক্ষে সিরাতের আলোচনা হতে হবে, এটি সঠিক নয়। বরং বছরব্যাপী সিরাত বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। সব সময়ই নবি কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবন আমাদের সামনে থাকা চাই।

বিশেষ করে, মাক্কি জীবনে অনেক শিক্ষা আছে, মাদানি জীবনে আমাদের জন্য শিক্ষা আছে, সেখান থেকে আমাদের কি কি শিক্ষা এই বিষয়গুলো ধারা বিন্যাসের সঙ্গে জনসাধারণের সামনে উপস্থাপন করা যেতে পারে।

আমরা সিরাত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা দেখি না। ধারাবাহিক আলোচনা দেখি না। আমি মনে করি, প্রতি বছর সিরাত বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন আলোচনা জনগণের সামনে আনা উচিত। এবং নববীর জীবনের অনন্য এসব আলোচনার নতুন নতুন করে সাধারন মানুষের সামনে উপস্থাপন করা উচিত। সিরাত বিষয়ে আলোচনা হওয়া উচিত সারা বছর ব্যাপী। সিরাতে নববীর আলোচনা যত বেশি হবে, মানুষের জীবনে সুন্নাহর অনুসরণ তত বাড়বে বলে আমি মনে করি।

করোনার দীর্ঘ বিরতির পর মাহফিল কেন্দ্রিক আয়োজকদের থেকে একজন তরুণ আলোচক হিসেবে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

আসলে গত বছরও আমরা কিছুটা উৎকণ্ঠায় ছিলাম মাহফিল গুলোকে নিয়ে। কিন্তু দেখেছি, আল্লাহতালার অশেষ মেহেরবানিতে সারাদেশে ব্যাপক পরিমাণ মাহফিল হয়েছে। এ বছর আসলে তারিখ লিখে রেখেছি। এখানে এ কথা বলে নেয়া ভালো, মাহফিলের জগতে আমি খুবই ক্ষুদ্র একজন। যেটাকে আমি আমার ভাষায় বলি, তিফলে মক্তব।

এজন্য আমি কতটা সাড়া পাচ্ছি, এটাই বড় কথা নয়, বড় কথা হল, আমরা আশা করছি এবার নভেম্বর থেকে ইনশাল্লাহ হয়তো মাহফিলগুলো আবার শুরু হবে। আল্লাহ তাআলা যদি সব ঠিক রাখেন তো সেটি মার্চ পর্যন্ত মোটামুটি চলবে। ইনশাআল্লাহ।

আমাদের মনে রাখা উচিত, মাহফিল একটি ধর্মীয় উৎসব। এখানে বিশুদ্ধ আক্বীদা এবং সুন্নতে নববি নিয়ে আলোচনা হয়। মানুষজন একেকটি মাহফিলকে একটি শিক্ষামূলক দারস মনে করে থাকেন। এই মাহফিল থাকলে সমাজে আদর্শীকতার আলোচনা থাকবে, সুন্দরভাবে জীবন গড়ার দীক্ষা থাকবে, সুন্নাহ ভিত্তিক জীবনযাপনের আহ্বান থাকবে। তাই এইসব পবিত্র আয়োজন তথা মাহফিলগুলো বেশি বেশি হওয়া উচিত। আল্লাহ তাআলা যেন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এমন পরিস্থিতি করে দেন, সেই কামনা করছি।

ওয়াজ মাহফিলের আগামীদিনগুলো কেমন মনে হয় আপনার কাছে?

মাহফিলগুলির ভবিষ্যৎ বলতে আলাদা করে আমি কিছু মনে করি না। আমি মনে করি, মাহফিল আবহমানকাল থেকে চলে আসা আমাদের ধর্মীয় একটি প্ল্যাটফর্ম।

একটি পবিত্র উৎসব।এই জায়গার ভাবগাম্ভীর্যময় পরিবেশ ও এর মর্যাদাবোধ আমাদেরকে লালন করতে হবে, ধারণ করতে হবে। মাহফিলের মঞ্চে এখন বিভিন্ন ধরনের কৌতুক, অভিনয় আমরা দেখতে পাচ্ছি। ইসলামের নামে এ ধরনের কৌতুক অথবা নাট্যাভিনয় কোনভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া যায় না।

মাহফিলে কোরআন ও হাদিসের আলোকে নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার শিক্ষা থাকবে, আমল ও আখেরাতের আলোচনা থাকবে, ইসলামি চেতনাবোধের আলোচনা থাকবে। এই সকল শিক্ষা যখন থাকবে তখনই মাহফিলগুলি সুন্দর হবে, মাহফিলগুলো আগেও ভালো ছিল, এখনো ভালো আছে, সামনে আরও ভালো থাকবে। ইনশাআল্লাহ।

আমাদের সময় দেয়ার জন্য আপনাকে সংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ আপনাকে। এবং আওয়ার ইসলামকে। আওয়ার ইসলামও দাওয়াতের কাজ করে যাচ্ছে। এই পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জন্য আন্তরিক মোবারকবাদ।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ