শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের প্রথম কাউন্সিল শনিবার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।।কাউসার লাবীব।।

জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশের প্রথম কাউন্সিল শনিবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর জামিয়া ইকরা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি আওয়ার ইসলামকে নিশ্চিত করেছেন বোর্ডটির একাধিক সূত্র। কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে বোর্ড সংশ্লিষ্ট সবার মাঝেই কাজ করছে উৎসাহ ও উদ্দীপনা।

‘জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশ’ বাংলাদেশে অবস্থিত সরকার স্বীকৃত অন্যতম একটি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড সমূহের মধ্যে এটি সর্বাপেক্ষা নতুন।

জানা যায়, ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবর আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের নেতৃত্বে এই বোর্ডটি গঠিত হয় এবং ১৫ অক্টোবর এটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। এই বোর্ডের অধীনে রয়েছে প্রায় ৮ শতাধিক মাদ্রাসা।

বোর্ডের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলদের মধ্যে রয়েছেন প্রথিতযশা আলেমেদ্বীন, দারুল উলুম রামপুরা বনশ্রী মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ। তিনি রয়েছেন সহসভাপতি পদে। এছাড়া মহাসচিব পদে রয়েছেন আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া ইদারাতুল উলুম আফতাব নগর মাদ্রাসার পিন্সিপাল মুফতি মুহাম্মদ আলী।

জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশের প্রথম কাউন্সিলের বিষয়ে মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আওয়ার ইসলামকে বলেন, এটি যেহেতু আমাদের প্রথম কাউন্সিল, তাই একটু বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। তবে ইতোমধ্যে আমাদের প্রাথমিক সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি আরো জানান, কাউন্সিলকে সামনে রেখে আমাদের দায়িত্বশীলগণ দেশের বেশ কয়েকটি জেলা ও গুরুত্বপূর্ণ মাদরাসাগুলো সফর করেছেন এবং আমাদের  বোর্ডের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনী কার্যক্রম চালিয়েছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ কাউন্সিলের মাধ্যমে আমাদের বোর্ডের মাদরাসা সংখ্যা হাজার ছাড়াবে বলে আশা করছি।

প্রথম কাউন্সিলের প্রস্তুতি কতটুকু সম্পন্ন হলো জানতে চাইলে বোর্ডটির মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ আলী জানান, আমাদের প্রাথমিক চূড়ান্ত প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। হাতে আশা তথ্য মতে দেশের প্রায় ৪৪ জেলার বিভিন্ন মাদরাসা থেকে প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থাকবেন। আজ রাতেই তারা রাজধানীর উদ্দেশ্য রওয়ানা দিবেন।

তিনি জানান, করোনা প্রথম টার্মে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল; তখন হিফজুল কোরআন বিভাগসহ মাদরাসা খোলার বিষয়ে জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশের অবদান ছিল প্রশংসনীয়। এছাড়াও স্বকীয়তা বজায় রেখে কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি আদায়ে আমরা কাজ করে গেছি।

কাউন্সিলে গুরুত্বপূর্ণ  পদে কোনো পরিবর্তন আসবে কি না? জানতে চাইলে মুফতি মুহাম্মদ আলী জানান, আসলে কাউন্সিলের আগে এরকম কিছুই বলা যাচ্ছে না। উপস্থিত সদস্যগণ দায়িত্ব পালনের জন্য যাদের বেছে নেবেন; তারাই দেশের অন্যতম এ বোর্ডটির খেদমতের সুযোগ পাবেন বলে জানান তিনি।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ