বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১৪ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
এক টাকা কেজিতে গরুর গোশত বিক্রি করলেন মুফতি রায়হান জামিল চান্দিনায় হাতপাখার প্রার্থী মুফতী এহতেশামুল হক কাসেমীর মটরসাইকেল শোডাউন ফরিদপুরে এক রাজমিস্ত্রির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ  খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ কর্তৃক হত্যার অভিযোগে চবিতে বিক্ষোভ আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের অবকাঠামো মেরামতের নির্দেশ ইসির সিলেটে খেজুরগাছের পক্ষে জনমত গড়ে তুলুন: আব্দুল মালিক চৌধুরী আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পুলিশকে শতভাগ নিরপেক্ষ থাকতে হবে: ডিএমপি কমিশনার সিলেটে দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় ইমাম সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত গণভোটের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন : আইন উপদেষ্টা ‘শাপলা কলি’ যুক্ত হলো ইসির প্রতীক তালিকায়

আস্তানার নামে ওয়াক্ফ করা জায়গায় মাদরাসা বানানোর বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ: আস্তানার নামে ওয়াক্ফ করা জায়গায় মাদরাসা বানানো যাবে? অথবা মসজিদ? কিংবা মকতব? এমন প্রশ্ন করতে শোনা যায় অনেককে। কেননা ভারতীয় উপমহাদেশে একটা সময় ছিলো, যখন ধর্ম বলতে সাধারণ বুঝতো পীর ফকিরের দরবার আর মাজার শরীফ কিংবা আস্তানাকে। তখন কুরআন-হাদিসের ছহীহ চর্চা না থাকাতেই হয়তো এমনটা হয়েছে। আর সাধারণ মানুষ নিজেদের সবকিছু দান করে যেতো মাজার কিংবা পীর-ফকিরের আস্তানাতে।

এখন সময়ের পরিবর্তন এসেছে। ধর্মের বুঝ এসেছে সাধারণ মানুষের মাঝে। তাই অনুশোচনায় ভুগছেন তারা। তবে সে সময়ের আস্তানার নামে ওয়াক্ফ করা জায়গায় কী মসজিদ-মাদরাসা বানানো যাবে? দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে এমনই একটি প্রশ্ন করেন জনৈক ব্যক্তি।

প্রশ্নকারী তার প্রশ্নে উল্লেখ করেন, ‘পূর্বেকার জামানার লোকেরা উত্তম বা কল্যাণ মনে করে নিজেদের কোনো জায়গাকে আস্তানার নামে ওয়াক্ফ করে দিয়েছেন। যেখানে মুহাররম মাসে বিদআত ও শরীয়ত বিরোধী কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এখন যদি যে জায়গায় সেই গ্রামের বাসিন্দারা পরামর্শ সাপেক্ষে মসজিদ অথবা মাদরাসা কিংবা মকতব প্রতিষ্ঠা করে। অথবা হুবহু ওই জায়গায় যেখানে আস্তানা বানানো হয়েছে, সেখানে মসজিদ বানান, তাহলে কি সেটা জায়েজ হবে?’

উল্লেখ থাকে যে, ‘যদি ওই জায়গায় যেখানে আস্তানা বানানো আছে সেখানে মসজিদ বানানো না হয়, তাহলে পরবর্তীতে সেখানে আরো অনেক বেশি বিদআত ও শরীয়ত বিরোধী কার্যক্রম পরিচালিত হতে পারে। দয়া করে এ মাসআলাটির সমাধান দিয়ে ধন্য করবেন।’

এ প্রশ্নের জবাবে দেওবন্দ থেকে বলা হয়, ‘যদি কোনো ফেতনা হওয়ার আশঙ্কা না থাকে। আর ঐ স্থানের জিম্মাদার বা মুতাওয়াল্লী গ্রামবাসীর সঙ্গে পরামর্শের মাধ্যমে সে জায়গাটি মসজিদ, মাদরাসা বা মকতবের নামে পরিবর্তন করে নেয়, তাহলে কোন সমস্যা নাই। মাকরুহ ছাড়াই সেটা জায়েজ আছে।’

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ