শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশকে টপকে দ্বিতীয় ভিয়েতনাম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: অবশেষে বিশ্বে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশকে টপকে একক দেশ হিসেবে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে চলে গেছে ভিয়েতনাম। বাংলাদেশ নেমে গেছে তৃতীয় স্থানে। বরাবরের মতো চীন সবার ওপরেই আছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিসটিকস রিভিউ ২০২১ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে ডব্লিউটিও। এতে দেখা যায়, ২০২০ সালে ভিয়েতনাম দুই হাজার ৯০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। আর বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে দুই হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পোশাক। অথচ এর আগের বছর বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল তিন হাজার ৪০০ কোটি ডলার। তখন ভিয়েতনামের রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার।

মূলত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ঘাড়ের ওপর নিশ্বাস ফেলছিল ভিয়েতনাম। গত দু-তিন বছরে ব্যবধানটি পিঠাপিঠি নিয়ে এসেছিল দেশটি। শেষপর্যন্ত করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে পেছনেই ফেলে দিয়েছে।

বাংলাদেশের রপ্তানির পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারে রপ্তানির হিস্যাও কমেছে। ২০১৯ সালে বিশ্বে যে পরিমাণ পোশাক রপ্তানি হয়, তার মধ্যে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল বাংলাদেশি। গত বছর সেটি কমে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে ভিয়েতনামের বাজার হিস্যা গত বছর ৬ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য ২০১০ সালে বাংলাদেশের হিস্যা ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। তখন ভিয়েতনামের ছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ। ১০ বছরের ব্যবধানে সেই ভিয়েতনামই টপকে গেল বাংলাদেশকে।

অবশ্য বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা বলছেন, করোনার কারণে গতবছর প্রায় এক মাস পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। সে সময় পণ্য রপ্তানি হয়নি। অনেক ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে। ফলে বন্ধের পর কারখানা খুললেও ক্রয়াদেশ কম ছিল। সে কারণে সহজেই ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে পেছনে ফেলতে পারে। তবে চলতি বছর চিত্র আবার পাল্টে যাবে। কারণ বর্তমানে প্রচুর ক্রয়াদেশ আসছে। অনেক কারখানা ২০১৯ সালের চেয়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশ ক্রয়াদেশ বেশি পাচ্ছে।

ডব্লিউটিওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে চীন সবচেয়ে বেশি; ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। যদিও এর আগের বছরের চেয়ে দেশটির পোশাক রপ্তানি ৭ শতাংশ কমেছে। তারপরও চীন বিশ্বের মোট পোশাক রপ্তানির ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ দখলে রেখেছে।

তবে একক দেশ হিসেবে ভিয়েতনাম দ্বিতীয় পোশাক রপ্তানিকারক হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো সম্মিলিতভাবে এ জায়গা বহুদিন ধরেই দখল করে আছে। গতবছর ইইউর দেশগুলো নিজেদের অঞ্চলে ১২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। আর ইইউর বাইরে তাদের রপ্তানির পরিমাণ ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ