বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
খেলাফত আন্দোলনের সাথে সমমনা ইসলামি দলসমূহের বৈঠক অনুষ্ঠিত কুরআনের মহব্বত থেকেই আমার রাজনীতিতে আসা: শায়খ নেছার আহমদ জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: আখতার হোসেন ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ নাশরুস সীরাহ’র সীরাত প্রতিযোগিতা, চলছে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয়: তীব্র নিন্দা ধর্মীয় নেতাদের মহাসমাবেশে আসার পথে আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে শায়খে চরমোনাই  ইবনে শাইখুল হাদিস এর আগমন উপলক্ষে শৈলকুপায় ব্যাপক প্রস্তুতি পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বেতুয়া হুজুরের বাড়িতে ইসলাহি মাহফিল

যে নিয়মকানুন মেনে চললে কিডনি রোগ নিয়েও ভালোভাবে বাঁচা যায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: অনেকেই কিডনি রোগে ভুগছেন। কিন্তু এ রোগ নিয়েও ভালোভাবে বাঁচা যায়। তবে এর জন্য শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবন যাপন করতে হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ডা. মারজোয়া হুমায়রা।

কিডনি রোগ নিয়ে ভালোভাবে বাঁচার উপায় কী, এ প্রশ্নের উত্তরে ডা. মারজোয়া হুমায়রা বলেন, কিডনি রোগে আমরা যদি কিছু নিয়মকানুন মেনে চলি, তাহলে আমরা দীর্ঘদিন ভালো থাকতে পারি।

প্রথমত আমাদের প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটা নির্ণয় করতে হবে এবং রেগুলার একটা চেকআপে থাকতে হবে। ডাক্তার যেভাবে বলবেন। ধরেন, ছয় মাসে একবার বা এক বছরে একবার বা কারও ক্ষেত্রে দুই মাস পর পর, যখন লাগবে এক মাস পর পর, তাকে নিয়মিত একটা চেকআপে থেকে এবং প্রত্যেকটা প্যারামিটার কন্ট্রোল করা; যেমন ক্রনিক কিডনি ডিজিজ হওয়ার পরেও যে জিনিসগুলো কিডনিকে বেশি অ্যাফেক্ট করে বা ক্ষতিটা বাড়িয়ে দেয়; যেমন কারও যদি রক্তচাপটা খুব বেশি থাকে, তাহলে দেখা যাবে যে এটা কিডনিকে আরও ক্ষতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সো, আমরা তার উচ্চ রক্তচাপটাকে খুব ভালোভাবে কন্ট্রোল করব, তার পর কারও যদি ইউরিনে খুব বেশি প্রোটিন চলে যেতে থাকে, সেটাও আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখব। যার প্রাথমিক ডিজিজ যেটা ছিল, যেমন যার নেফ্রাইটিস থেকে হয়েছে, তার নেফ্রাইটিসটাকে মনিটর করা; যার ডায়াবেটিস থেকে হয়েছে, ডায়াবেটিসটাকে নিয়ন্ত্রণ করা।

ডা. মারজোয়া হুমায়রা বলেন, কিডনি রোগটা হয়ে যাওয়ার পরে এটা থেকে পরবর্তী যে কমপ্লিকেশনগুলো হয়, সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যেমন রক্তে চর্বির পরিমাণ যেন না বেড়ে যায়, রক্তের পরিমাণ যদি কমে যায়, সে ক্ষেত্রে তাকে প্রপার চিকিৎসা দেওয়া। কখনও আমরা তাকে আয়রন দিচ্ছি মুখে, কখনও আইভি আয়রন দিচ্ছি, কখনও রক্ত তৈরি হওয়ার যে উপাদান, সেটা আমরা বাইরে থেকে দিয়ে দিচ্ছি। যেটা তার জন্য উপযুক্ত, আমি ক্লিনিক্যালি দেখে যেটা মনে করব দেওয়া দরকার, সেটা করব। হারমেটাবলিজমের যে ভূমিকা কিডনি রাখে, সেটা কী অবস্থায় আছে, সেটার জন্য ক্যালসিয়াম, ফসফেট সাপ্লিমেন্ট দেওয়া লাগে। অম্ল-ক্ষারের... কিডনি খারাপ থাকলে মেটাবলিক অ্যাসিডোসিস হয়ে যায়। সেটার জন্য আমরা চিকিৎসা দিয়ে থাকি। সোজা কথা, কিডনি যা যা কাজ করে, সে কাজগুলো যেন ঠিকঠাক চলে যায় বা হতে থাকে, সে জন্য যে ওষুধগুলো বাইরে থেকে দিতে হবে, সেগুলো দেওয়া। আর খাদ্যতালিকা মেনে চলা।

কিডনি রোগীকে শুধু ওষুধ খেলেই চলবে না, জীবন যাপনের ধরনেও পরিবর্তন আনতে হবে। তাহলেই ভালো থাকা যাবে।

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ