শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
৪০ সেকেন্ডের ঝটিকা মিছিল শেষে কারাগারে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ১২ নেতাকর্মী ‘যথেষ্ট সফলতা আছে, তবে ১৫ বছরের জঞ্জাল ১৫ মাসে পরিষ্কার করা যায় না’ ব্যাংকগুলোতে ক্যাশ নেই, চরম ভোগান্তিতে গাজার মানুষ বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগের বিরুদ্ধে ইসরাইলে ব্যাপক বিক্ষোভ শ্রমিকবান্ধব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে : মাওঃ আব্দুল আউয়াল দেশের সর্ববৃহৎ সিরাত প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত ‘যারা ভোটের জন্য বেহেশতের টিকিটের কথা বলে বেড়ায় তাদের থেকে সাবধান’ ঝটিকা মিছিল করতে গিয়ে গ্রেপ্তার আ.লীগের তিন হাজার নেতাকর্মী ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়কে নামাজ আদায় নভেম্বর থেকে নতুন পোশাক পাচ্ছে মহানগর পুলিশ

ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে রোজাদারের বিশেষ পুরস্কার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মূল: মুফতি তাকি উসমানী
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ নোমান

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানে চার কাজ বেশি বেশি করার নির্দেশ দিয়েছেন। একটি হাদিসে তিনি বলেছেন, এই মাসে তোমরা চার কাজ খুব বেশি করে করো। এর মাঝে দু'টি কাজ এমন যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন হবে। একটি হলো, কালেমায়ে তাইয়েব-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ- বেশি বেশি পড়তে থাকো। আরেকটি হলো বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করা।

আর বাকি দু'টি জিনিস এমন যা তোমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। যা থেকে তোমরা অমুখাপেক্ষী হতে পারবেনা। একটি হলো, অধিক পরিমাণে জান্নাত লাভের দোয়া করা এবং আরেকটি হলো, জাহান্নাম থেকে মুক্তি কামনা করা। রমজানের শেষ দশককে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাহান্নাম থেকে মুক্তির দশক হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

রমজানের প্রথম ও দ্বিতীয় দশক রহমত ও মাগফেরাত লাভের সাথে সাথে শেষ দশকে মুসলমানরা এই পুরস্কার লাভ করে। জাহান্নাম থেকে মুক্তি বছরের অন্য কোনও সময় এতো ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়না।

একাধিক হাদিসে রমজানের এই বিশেষ পুরস্কারের বর্ণনা এসেছে। এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রমজানের প্রতিদিন আল্লাহ তায়ালা এমন অসংখ্য বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন যারা জাহান্নামের শাস্তি ভোগের উপযুক্ত ছিলো। আরেক হাদিসে এসেছে, আল্লাহ তায়ালা রমজানের শেষ দিবসে রমজানের প্রথম দিবস থেকে শেষ দিবসের আগ পর্যন্ত যতজন বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়েছেন সমপরিমাণ বান্দাকে মুক্তি দান করেন।

আরেক হাদিসের বর্ণণা এমন, রমজানের শেষ দিবসে সকল রোজাদারকে মাফ করে দেওয়া হয় এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করা হয়। সাহাবারা রা. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ, শবে কদরের ফজিলতের কারণে কি রমজানে মুক্তি দেওয়া হয়? রাসুল সা. উত্তরে বললেন, না। (শবে কদরের ফজিলত তো ভিন্ন)।

বরং নিয়ম তো হলো, যখন শ্রমিকের কাজ শেষ হলে তাকে পারিশ্রমিক দিয়ে দেওয়া হয়। এরদ্বারা উদ্দেশ্য হলো, রোজাদার রোজা রাখার মাধ্যমে নিজের দায়িত্ব পালন করেছে। এজন্য আল্লাহ তায়ালা রমজানের শেষে তাদেরকে গুনাহ থেকে ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করার মাধ্যমে পুরস্কৃত করেছেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ