শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


যশোরে ‘কাদিয়ানী ফেৎনার স্বরূপ উন্মোচন’ শীর্ষক আলোচনা সেমিনার অনুষ্ঠিত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: জেলা ইমাম পরিষদ যশোর, জেলা কওমি মাদরাসা পরিষদ যশোর ও যশোর জেলা ফতোয়া বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত কাদিয়ানী ফেৎনার স্বরূপ উন্মোচন ও ওলামায়ে কেরামের জিম্মাদারী শীর্ষক আলোচনা সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন জামিয়া এজাজিয়া দারুল উলুম রেলস্টেশন মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আনোয়ারুল করিম যশোরী, দারুল আরকাম মাদ্রাসার প্রন্সিপাল মাওলানা আব্দুল মান্নান, দড়াটানা মাদরাসার পরিচালক মুফতি মুজিবুর রহমান।

এছাড়া বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা নাছিরুল্লাহ, মাওলানা নাসির উদ্দিন, মুফতী শামসুর রহমান, মাওলানা বেলায়েত হোসেন। সেমিনারের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মুফতি কামরুল আনোয়ার নাঈম।

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খতমে নবুওয়ত মারকায ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতী শুয়াইব ইবরাহীম। আলোচনায় তিনি কাদিয়ানী ফেৎনার স্বরূপ উন্মোচন করতে গিয়ে বলেন, কাদিয়ানী ধর্মের প্রবর্তক মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী বংশগতভাবে ভারত উপমহাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী আত্মস্বীকৃত জাতীয় গাদ্দার।

কাদিয়ানী তার পুস্তকে স্বীকারোক্তি দিয়ে লিখেছে, তার পিতার জন্য ইংরেজ গভর্নর হাউজে আসন গ্রহণের জন্য চেয়ারের ব্যবস্তা থাকত এবং ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবের সময় উপমহাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে গিয়ে তার পিতা ইংরেজদের সাধ্যাতীত সহযোগিতা করেছে। সুতরাং মীরজাফর, ঘষেটি বেগম গং গাদ্দারি করার কারণে যদি জাতীয় বেইমান হয়ে থাকে, তাহলে মির্জা কাদিয়ানী বংশগতভাবে আত্মস্বীকৃত জাতীয় গাদ্দার বলে বিবেচিত হবে।

‌তিনি আরো বলেন, কাদিয়ানী ধর্ম হলো পৃথিবীর মধ্যে ধূর্ততম ধর্ম। কাদিয়ানিরা নিকৃষ্টতম কাফের হয়েও নিজেদেরকে মুসলমান আখ্যায়িত সাধারণ মুসলমাদেরকে ধোকা দিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের ঈমান হরণের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

সুতরাং ইসলাম ধর্মের সুরক্ষা ও মুসলমানদের ঈমান হেফাজতের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানীদের সংখ্যালঘু অমুসলিম ঘোষণা করা মুসলমানদের সাংবিধানিক অধিকার। বাংলাদেশের কোটি কোটি তৌহিদী জনতা এক সাগর রক্ত দিয়ে হলেও কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি আদায় করে ছাড়বে ইনশাআল্লাহ।

তিনি উপস্থিত ওলামায়ে কেরামের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সাধারণ মুসলমানদের ঈমান হেফাজতের জন্য কাদিয়ানী ফেৎনা থেকে সচেতন করা এবং কাদিয়ানী ফেতনায় আক্রান্ত হয়ে ইমান হারিয়ে বসা লোকদের ইসলামে ফিরিয়ে আনার জন্য দাওয়াতের মেহনত করা ওলামায়ে কেরামের ফরিজা।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ