বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

ইলমি খেয়ানত: দরস ও শিক্ষক দুইপ্রকার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তানভীর সিরাজ।।

আমরা যদি সচেতনতার সাথে এবং দরদি মালীর মতো মাদরাসা নামক জান্নাতের বাগান আর তার দরসের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখব শিক্ষক-শিক্ষিকা দুইপ্রকার।

ক. এমন শিক্ষক-শিক্ষিকা যিনি হারদম তালিবুল ইলমদের উন্নতির ফিকির করেন। যিনি দরস আর ক্লাসে নয় শুধু, তার বাইরেও ছাত্রদের অগ্রগতির চিন্তা করেন। কীভাবে ছাত্রদের সময়ের হেফাজত হবে? কীভাবে তালিবুল ইলমের দিনদিন তারাক্কি হবে? কীভাবে অমনোযোগী ছাত্রদের মনোযোগী করা যাবে? আর কীভাবে অল্পতেই ছাত্রদের পড়া বুঝানো যাবে ইত্যাদি। যাতে করে তাদের সবদিকে ফায়দা হয়। তিনি হলেন দরদি উস্তাদ। এমন শিক্ষক-শিক্ষিকার ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীরা তৃপ্তি সহকারে জ্ঞানের সাগরে সাঁতার কাটতে থাকে।

খ. দ্বিতীয় প্রকার হলো এমন শিক্ষক-শিক্ষিকা যিনি পড়ার নামে ক্লাস ফাঁকি দেন। ক্লাস ফাঁকি দেওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকা আবার দুই প্রকার।

ক. যারা ভালো করে মুতা'আলা করে আসেন না, বা কিতাব বুঝেন না। আরবি কিতাব / ইংরেজি বই অনুবাদ, বা ব্যাখাবই দেখে ক্লাস নেন, কিংবা বুঝাতে অক্ষম প্রায়, তাই তারা ক্লাসে মূল পড়া বাধ দিয়ে উপরের আর নীচের জামাতের অপ্রয়োজনীয় কথা ও গল্পগুজব, কিংবা বিভিন্ন অপ্রসাঙ্গিক কথা বলে বলে সময় পার করেন। এমন শিক্ষক আর শিক্ষিকা দ্বারা ছাত্রদের উন্নতি আশা করা নিরাশার শামিল।

খ. আরেক প্রকার শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন যারা মূলতই ক্লাস ফাঁকি দেন। প্রতিদিন দরসে আসেন না। এবং নিজ স্কন্ধে থাকা দায়িত্বও পালনে যথেষ্ট গড়িমসি করেন - এমন শিক্ষক-শিক্ষিকা দিয়েও ছাত্রদের উন্নতি আশা করা নিরাশার শামিল। এভাবে ক্লাস বা দরসও বিভিন্ন প্রকারে রূপান্তরিত হয়! আফসোস। শুধুই আফসোস।

আর এসবগুলো হল ছাত্র আর ছাত্রীদের ইলমি খেয়ানত। যে খেয়ানত কখনও পরিশোধ করার নয়। পরে ছাত্র আর ছাত্রীদের জীবন যায় অতল গভীরে নিরাশার সাগরে। দোষ কার? শিক্ষক-শিক্ষিকার, নাকি ছাত্র - ছাত্রীর? যেকারণে আজকাল হাউস টিউটর, বা প্রাইভেট নামক ব্যবসার রমরমা অবস্থা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ