মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
প্রথমবারের মতো টাইফয়েডের টিকা পেল মাদরাসা শিক্ষার্থীরা পর্যটকদের দৃষ্টি কাড়ে কাপ্তাইয়ের পিলারবিহীন মসজিদ নোয়াখালীর সংঘর্ষের কথা বলে প্রচারিত মসজিদের ছবির সত্যতা কতটুকু? চবির পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে কোরআন বিতরণ আবারও ‍খুলে দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত স্বাধীন দেশে থেকেও আমরা ছিলাম পরাধীন: ফয়জুল করীম নোয়াখালীতে কোরআন তালিমে হামলার প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ইসরায়েলকে কঠিন পরিণতির হুঁশিয়ারি ইয়েমেনের  সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী/ভাতা পুনঃনির্ধারণ: অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন এবার এক টাকা কেজি গরুর গোশত বিক্রির ঘোষণা এমপি প্রার্থীর!

ইলমি খেয়ানত: দরস ও শিক্ষক দুইপ্রকার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তানভীর সিরাজ।।

আমরা যদি সচেতনতার সাথে এবং দরদি মালীর মতো মাদরাসা নামক জান্নাতের বাগান আর তার দরসের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখব শিক্ষক-শিক্ষিকা দুইপ্রকার।

ক. এমন শিক্ষক-শিক্ষিকা যিনি হারদম তালিবুল ইলমদের উন্নতির ফিকির করেন। যিনি দরস আর ক্লাসে নয় শুধু, তার বাইরেও ছাত্রদের অগ্রগতির চিন্তা করেন। কীভাবে ছাত্রদের সময়ের হেফাজত হবে? কীভাবে তালিবুল ইলমের দিনদিন তারাক্কি হবে? কীভাবে অমনোযোগী ছাত্রদের মনোযোগী করা যাবে? আর কীভাবে অল্পতেই ছাত্রদের পড়া বুঝানো যাবে ইত্যাদি। যাতে করে তাদের সবদিকে ফায়দা হয়। তিনি হলেন দরদি উস্তাদ। এমন শিক্ষক-শিক্ষিকার ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীরা তৃপ্তি সহকারে জ্ঞানের সাগরে সাঁতার কাটতে থাকে।

খ. দ্বিতীয় প্রকার হলো এমন শিক্ষক-শিক্ষিকা যিনি পড়ার নামে ক্লাস ফাঁকি দেন। ক্লাস ফাঁকি দেওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকা আবার দুই প্রকার।

ক. যারা ভালো করে মুতা'আলা করে আসেন না, বা কিতাব বুঝেন না। আরবি কিতাব / ইংরেজি বই অনুবাদ, বা ব্যাখাবই দেখে ক্লাস নেন, কিংবা বুঝাতে অক্ষম প্রায়, তাই তারা ক্লাসে মূল পড়া বাধ দিয়ে উপরের আর নীচের জামাতের অপ্রয়োজনীয় কথা ও গল্পগুজব, কিংবা বিভিন্ন অপ্রসাঙ্গিক কথা বলে বলে সময় পার করেন। এমন শিক্ষক আর শিক্ষিকা দ্বারা ছাত্রদের উন্নতি আশা করা নিরাশার শামিল।

খ. আরেক প্রকার শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন যারা মূলতই ক্লাস ফাঁকি দেন। প্রতিদিন দরসে আসেন না। এবং নিজ স্কন্ধে থাকা দায়িত্বও পালনে যথেষ্ট গড়িমসি করেন - এমন শিক্ষক-শিক্ষিকা দিয়েও ছাত্রদের উন্নতি আশা করা নিরাশার শামিল। এভাবে ক্লাস বা দরসও বিভিন্ন প্রকারে রূপান্তরিত হয়! আফসোস। শুধুই আফসোস।

আর এসবগুলো হল ছাত্র আর ছাত্রীদের ইলমি খেয়ানত। যে খেয়ানত কখনও পরিশোধ করার নয়। পরে ছাত্র আর ছাত্রীদের জীবন যায় অতল গভীরে নিরাশার সাগরে। দোষ কার? শিক্ষক-শিক্ষিকার, নাকি ছাত্র - ছাত্রীর? যেকারণে আজকাল হাউস টিউটর, বা প্রাইভেট নামক ব্যবসার রমরমা অবস্থা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ