মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান অধ্যাপক আখতার ফারুক রহ.-এর জীবন-কর্ম আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হেফাজতের মহাসমাবেশ সফলে সাভারে উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত  কারাগারে পাঠানোর নির্দেশের পর জামিন পেলেন মাওলানা মাসউদুল করীম ইজতেমা মাঠের মামলায় মাওলানা মাসউদুল করীম কারাগারে নারী সংস্কার কমিশনের ত্রুটি জানানো হলো ঐকমত্য কমিশনকে ভারতের আক্রমণ মোকাবেলায় পাকিস্তানের প্রস্তুতি শাইখুল হাদীস মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ আাকিল (রহ.)-এর জীবন ও অবদান

ইসলাম: মানবজীবনে শান্তির বাতায়ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কামরুল ইসলাম সিরাজী: সালাম মানে শান্তি। ইসলাম মানে শান্তির জন্য আত্মসমর্পণ। মুসলিম মানে শান্তি প্রিয়। ইসলাম আল্লাহ তায়ালার একমাত্র মনোনীত ধর্ম; যার অনুসরণ ব্যতীত পরকালীন মুক্তি মিলবে না। আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেন: ‘নিঃসন্দেহে ইসলাম আল্লাহ তাআলার একমাত্র মনোনীত ধর্ম।’ ( আলে ইমরান: আয়াত: ১৯)
‘যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম অনুসন্ধান ( অনুসরণ ) করবে, তা গ্রহণযোগ্য হবে না। আর সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ ( আলে ইমরান: আয়াত: ৮৫)

এই ধর্মের ছায়াতলে রয়েছে সকল জাতি, সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের মুক্তি ও শান্তি , সম্মান ও নিরাপত্তা। কেননা ইসলাম প্রত্যেকটি মানুষের জন্য একে অপরের হাত ও জবানের কষ্ট থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে এবং সেটাকে ঈমানের অঙ্গ হিসেবে সাব্যস্ত করেছে। তাছাড়া যে ব্যক্তির মধ্যে তা অবিদ্যমান সে পরিপূর্ণ মুসলমান নয় বলে ঘোষণা দিয়েছে ইসলাম।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সেই ব্যক্তি প্রকৃত মুমিন যার হাত ও জবান থেকে অপর মুসলমান নিরাপদ।’ (বুখারী মুসলিম) আরও বর্ণিত হয়েছে ‘সত্যিকারের ঈমানদার সে ব্যক্তি যার কাছ থেকে সকলে মাল সম্পদের ব্যাপারে নিরাপদ বোধ করে’।-( ইবনে মাজাহ ) এর দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে,যদি কারো হাত ও জবান থেকে অপর মুসলমান অনিরাপদ হয়। তাহলে তার হাতে ইসলাম ও নিরাপদ নয়।

ইসলামে প্রতিশ্রুত শান্তি লাভ নির্ভর করে ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে ধারণ করার ওপর। কেননা আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারীমে বলেছেন ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইসলামে পরিপূর্ণ রুপে প্রবেশ কর’ ( সূরা: বাকারা আয়াত: ২০৮) এতে সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয় আংশিক ইসলাম ধারণে প্রতিশ্রুত শান্তি মিলবে না।

আজকের পৃথিবীতে সর্বত্র মুসলমানগন নিপীড়নের শিকার। এর একটা কারণ হিসেবে দ্বীন বিমূখতা বা ইসলামের আংশিক পালনকে উল্লেখ করা যায়। কিন্তু এর জন্য অনেকে দায়ী করেন পশ্চিমা ও ইউরোপীয়দের। অথচ তারা নিজেদের ইসলাম বিমূখতা ও আংশিক ধারণকে দায়ী করতে নারাজ।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ