মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৫ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

বাংলাভাষী দুই হাজার মনীষীর জীবনী নিয়ে মুফতি হিফজুর রহমানের ৮ খণ্ডের আরবি গ্রন্থ বাজারে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ আল আমিন

বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও বার্মার বাংলাভাষী আলেম মনীষীদের নিয়ে শাইখুল ইসলাম প্রকাশনী থেকে আরবি ভাষায় প্রকাশিত হলো যুগান্তকারী গ্রন্থ ‘আল ইয়াওয়াকীতু ওয়াল জাওয়াহের ফি তারাজিমি নুবালা-ই বাঙ্গাল ওয়াল আকাবির’। অনবদ্য এ গ্রন্থটিতে স্থান পেয়েছে বাংলাভাষী ২১৮৩ জন মনীষীর অমূল্য জীবনকথা। প্রায় চার হাজার পৃষ্ঠার সুবিশাল কলেবরের অনবদ্য এ গ্রন্থটি রচনা করেছেন ঢাকাস্থ জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার প্রধান মুফতি, বহু গ্রন্থ প্রণেতা, আল্লামা হিফজুর রহমান হাফি.। যিনি একাধারে দেশের খ্যাতনামা মুফতি, প্রাজ্ঞ আলেম, বিদগ্ধ মুহাদ্দিস, ইসলাম বিষয়ক প্রথিতযশা লেখক। রিজাল শাস্ত্রের বরেণ্য গবেষক, কর্ম ও সৃষ্টিশীলতায় অনন্য ব্যক্তিত্ব। বাংলার বরিত মনীষা।

বাংলাভাষী ২১৮৩ জন মনীষীর অমূল্য জীবনকথা নিয়ে রচিত ৮ খণ্ডের এ অনবদ্য গ্রন্থ বিষয়ে আওয়ার ইসলামকে মুফতি হিফজুর রহমান হাফি. বলেন বিশ্ব দরবারে কীর্তিমান বাঙ্গালী ওলামা-মাশায়েখদের অবদান তুলে ধরার উদ্দেশ্যেই আমার এ প্রয়াস। মুফাক্কিরে ইসলাম আল্লামা আবুল হাসান নদবী রহ. এর পিতা মাওলানা আব্দুল হাই আল হাসানী রহ. (মৃ: ১৩৪১হিঃ/ ১৯২৩ ইং) অখন্ড ভারতের মনীষীদের জীবনীর উপর ‘নুজহাতুল খাওয়াতির’ নামক ৮ খন্ডের একটি কালজয়ী গ্রন্থ রচনা করেছেন, কিন্তু তাতে মাত্র ৮/১০ জন বাংলাভাষী আলেমদের জীবনী এসেছে। অথচ শতকরা ৯৫ জন মুসলমানের এদেশের আরোও বেশি আলেমের জীবনী আসা প্রয়োজন ছিলো। উপমহাদেশের বাংলাভাষী আলেমদের জীবনী নিয়ে আরবিতে যেহেতু তেমন কোনো গ্রন্থ রচিত হয়নি, তাই এক্ষেত্রে একটি শুণ্যতা বিরাজ করছিলো। আমি আশা করি, এ গ্রন্থটি সে শুণ্যতা পূরণে যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বিশ্ব দরবারে বিশেষত সৌদি আরবসহ অন্যান্য আরব রাষ্ট্রগুলোতে বাংলাভাষী ওলামায়ে কেরামের পরিচয় তুলে ধরার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ।

সুদীর্ঘ ছয় বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে রচিত হয় এ গ্রন্থটি। গ্রন্থটিতে অভিমত দিয়েছেন মিসরের বিশিষ্ট ফকীহ ও আল আযহার বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক শায়খ মুহাম্মদ বিন জামালুদ্দিন আস সুয়ূতী, দারুল উলুম দেওবন্দের বিশিষ্ট মুহাদ্দিস বাহরুল উলুম আল্লামা নেয়ামাতুল্লাহ আযমী ও মুহাদ্দিসে কাবীর আল্লামা হাবিবুর রহমান আযমী এবং দারুল উলুম হাটহাজারীর প্রধান মুফতী খ্যাতনামা আলেমেদ্বীন আল্লামা মুফতী আব্দুস সালাম চাটগামীসহ বিশ্ববরেণ্য মনীষীগণ।

মুফতি হিফজুর রহমান হাফি. আরো বলেন, কিতাবটি ছেপে এসেছে মাত্র কয়েকদিন হলো। আলহামদুলিল্লাহ, ইতোমধ্যেই দেশ-বিদেশের বহু স্থান থেকে বিভিন্নজন কিতাবটির চাহিদা জানিয়ে যোগাযোগ করেছেন। মিসরের একটি অভিজাত প্রকাশনী গ্রন্থটি ছাপানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

‘আল ইয়াওয়াকীতু ওয়াল জাওয়াহের ফি তারাজিমি নুবালা-ই বাঙ্গাল ওয়াল আকাবির’ গ্রন্থটি মুফতি হিফজুর রহমান হাফি. এর আরবি ভাষায় রচিত ১৯তম গ্রন্থ। আরবী ভাষায় তার রচিত আরো ১৮ টি গ্রন্থ রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাভাষায় এ যাবত প্রকাশিত তাঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ৭০ টি।

একান্ত নিভৃতচারী এ মনীষী নিজেকে আড়াল করে রাখলেও ইতোমধ্যেই তিনি কালজয়ী হয়ে উঠেছেন। আরবী ভাষায় তার স্বরচিত গ্রন্থগুলো দেশের গন্ডি পেড়িয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি কেড়েছে। বিশ্বের নামিদামি বিশ্ব বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারগুলোতে ইতোমধ্যেই তার রচিত গ্রন্থগুলো জায়গা করে নিয়েছে। তার জ্ঞানদগ্ধ লিখনী চিরকাল তাকে কালজয়ী ও অবিস্মরণীয় করে রাখবে পৃথিবীর জ্ঞানের ইতিহাসে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ