মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৫ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

যে কারণে আশুরা গুরুত্বপূর্ণ: মুফতি তাকি উসমানি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মূল: মুফতি তাকি উসমানি
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ নোমান

মুহাররম মাসের দশম দিনকে আশুরা বলা হয়। এদিনটিকে আল্লাহ তায়ালা রহমত ও বরকতে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মুসলমানদের জন্য এদিনে রোজা রাখা ফরজ ছিলো। তবে রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পর এদিনের ফরজ রোজার বিধান আল্লাহ তায়ালা মানসুখ করে দেন। তবে আশুরার দিন রোজা রাখা সুন্নত।

কারণ এদিন রাসুল সা. রোজা রেখেছেন। এক হাদিসে রাসুল সা বলেন, আমি আল্লাহ তায়ালার রহমতের ব্যাপারে আশাবাদী যে ব্যক্তি আশুরার দিনে রোজা রাখবে এই রোজা তার পূর্বের এক বছরের গুনাহের কাফফারা হয়ে যাবে। আশুরার দিনের এই বিশেষ ফজিলত হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। রাসুল সা. তাঁর জীবদ্দশায় আশুরার দিন রোজা রাখতেন। তবে ইন্তেকালের পূর্বে তাঁর জীবনের শেষ আশুরার রোজা রাখার পর বলেছিলেন যে, আমরা মুসলমানরা আশুরার দিন রোজা রাখি এবং ইহুদীরাও এদিন রোজা রাখে।

একারণে তাদের সাথে আমাদের সামান্য সাদৃশ্য দেখা পরিলক্ষিত হয়। তাই আগামীবছর জীবিত থাকলে এদিনের সাথে মিলিয়ে ৯ই বা ১১ই মুহাররম আরো অতিরিক্ত একটি রোজা রাখব।যাতে করে ইহুদীদের সাথে সাদৃশ্য আর না থাকে।

কিন্তু পরবর্তী আশুরা আসার পূর্বেই তার ইন্তেকাল হয়ে যায়। ফলে রাসুল সা. তাঁর জীবদ্দশায় এ আমল করার সুযোগ পাননি। যেহেতু রাসুল সা এ ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, তাই সাহাবীগণ আশুরার রোজার ব্যাপারে এই আমলকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে আমল করেছেন। ফলে তারা আশুরার রোজার সাথে ৯ই মুহাররম বা ১১ই মুহাররম একটি রোজা বাড়িয়ে রাখতেন।

তাই এটি মুস্তাহাব হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। আর শুধুমাত্র আশুরার দিনে রোজা রাখাকে মাকরুহে তানজিহি এবং অনুত্তম বলা হয়েছে। অর্থাৎ কেউ শুধু আশুরার দিন রোজা রাখার কারণে গুনাহগার হবেনা। বরং রোজা রাখার কারণে সওয়াব পেয়ে যাবে। তবে যেহেতু এ রোজার ক্ষেত্রে রাসুল সা. একটি রোজা বাড়িয়ে রাখার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তাই উত্তম হলো আরও একটি রোজা বাড়িয়ে রাখা। সূত্র: ইসলাহি খুতুবাত, খণ্ড নং: ১৪

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ