শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৩ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কচুয়ায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও যুব মজলিসের নতুন কমিটি ঘোষণা কেবল নেতা পরিবর্তন করতে জুলাইয়ে ছাত্র-জনতা রক্ত দেয় নাই : শায়েখে চরমোনাই জুলাই চেতনার সাথে গাদ্দারি ইতিহাস ক্ষমা করবে না : নেজামে ইসলাম পার্টি  চাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্যানেল ঘোষণা হক্কানী আলেমদের পরামর্শে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জাতির জন্য কল্যাণকর: জমিয়ত আলোচনার মধ্যে কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল শনিবার ঢাকায় কচুয়ার উলামায়ে কেরামের মতবিনিময় সভা কুমিল্লার নূর মসজিদ মাদরাসায় একাধিক শিক্ষক নিয়োগ পিআর পদ্ধতি জনতা না চাইলে আমরাও আর দাবী করবো না: শায়েখে চরমোনাই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় বিপর্যয় অনিবার্য: মহাসচিব 

আসছে তৃতীয় ইন্তিফাদা: ফিলিস্তিনে আবারো ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে হামাস-ফাতাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের অন্যতম উপদেষ্টা নাবিল সাথ বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েল যদি ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে জবর দখল করে নেয় তাহলে তেল আবিবের বিরুদ্ধে তৃতীয় ইন্তিফাদা বা গণজাগরণ অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠবে।

ফ্রান্সের চ্যানেল-২৪ টেলিভিশনের আরবি বিভাগের সঙ্গে আলাপকালে গতকাল শনিবার নাবিল সাথ আরো বলেন, ইসরাইল যদি পশ্চিমতীরকে দখল করে তাহলে তা ঠেকানোর জন্যে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এবং ফাতাহ আন্দোলন ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার চুক্তিতে পৌঁছেছে।

তিনি বলেন, “যদি পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং পূর্ণমাত্রায় ইন্তিফাদা শুরু হয়ে যায় তাহলে আমরা হামাস এবং গাজার সমন্বিত লড়াই দেখব।”

নাবিল সাথ বলেন, তিনি আশা করছেন ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য তৃতীয় ইন্তিফাদায় আরব দেশগুলো অর্থ যোগান দেবে।

এদিকে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এবং প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ আন্দোলন ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভূমি দখল পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। গত বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের কার্যত রাজধানী রামাল্লাহ শহরে অনুষ্ঠিত এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দু দল এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে।

ফাতাহ আন্দোলনের মহাসচিব জিবরিল রাজুব বলেন, “আমরা শতভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, ইহুদিবাদী ইরাইলের পক্ষ থেকে আসা এই চ্যালেঞ্জকে হামাসের সঙ্গে মিলেমিশে মোকাবেলা করবো।” তিনি আরো বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের এই ভূমিদখল পরিকল্পনা রুখে দিতে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার জন্য সবধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

রাজুব বলেন, “আজকে আমরা ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠে কথা বলতে চাই এবং এ সিদ্ধান্ত আমাদের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস অনুমোদন করেছেন।”

১৯৮৭ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত প্রথম ইন্তিফাদা চলে। দ্বিতীয় ইন্তিফাদা শুরু হয় ২০০০ সালে এবং ২০০৫ সাল পর্যন্ত তা স্থায়ী ছিল। এ সময়ে অন্তত ৩২০০ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন এবং ইসরাইলের এক হাজার মানুষ মারা গেছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ