মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫ ।। ৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২৮ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :
মাদরাসা ছাত্র হাফেজ মনসুরের হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবি ড. মাহমুদুর রহমানের মায়ের জন্য দোয়ার আহ্বান পীর সাহেব দেওনার ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত, মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল মানবতা ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে: ইসলামী ঐক্যজোট আলমডাঙ্গায় পলাশি দিবসের আলোচনাসভা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের সমাপ্তি চায় ইসরায়েল: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আন্দোলনে অচল সরকারি অফিস সচলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন: ইসলামী আন্দোলন দলের কর্মীদের নিয়ে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি নেতা ইসলামি দলগুলোর শীর্ষ নেতারা কে কোথায় থেকে লড়বেন? লন্ডনে জমিয়তের ঈদ পুনর্মিলনী ও কার্যনির্বাহী কমিটির বিশেষ সভা

যে কারণে শান্তিতে নোবেল পেলেন আবি আহমেদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলী। শান্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য তাকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার নরওয়ের স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় রাজধানী অসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি এবারের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে।

নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য ৩০১টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ২২৩ জন ব্যক্তি ও বাকি ৭৮টি প্রতিষ্ঠান।

আগামী ডিসেম্বরে অসলোতে বিজয়ীকে নয় মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার পুরস্কার দেয়া হবে।

গত বছর ইরিত্রিয়ার সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তিতে সম্মত হয় ইথিওপিয়া। ক্ষমতায় আসার ছয়মাসের মধ্যেই তিনি এ সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন। এ চুক্তির কারণে ১‌৯৯৮-২০০০ সালের সীমান্ত যুদ্ধের পর গত ২০ বছরের অচলাবস্থার নিরসন হয়েছে। ওই যুদ্ধে ৭০ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ইথিওপিয়ায় ব্যাপক উদারীকরণ সংস্কার করেন আবি আহমেদ। দেশটির কঠোর নিয়ন্ত্রীত সমাজ ব্যবস্থায় তিনি বড় ধরনের একটা নাড়া দিতে সক্ষম হয়েছেন। কারাগার থেকে কয়েক হাজার বিরোধী দলীয় নেতাকে মুক্তি দেন।

এরমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- তিনি প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দুই দশকের যুদ্ধের ইতি ঘটিয়ে একটি শান্তি চুক্তি সই করেন।

৪৩ বছর বয়সী এ আফ্রিকান নেতা নিজ সমাজ ব্যবস্থাকে বড় পরিবর্তনের দিকে নিয়ে গেছেন। সেই গতিকে তিনি সীমান্ত ছাড়িয়ে বহুদূর ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের কেবল কারাগার থেকে মুক্ত করে দিয়েই ক্ষান্ত হননি, তাদের ওপর চালানো রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও নৃশংসতার জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন।

এছাড়াও তার পূর্বসূরি যাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে দেশ ছাড়া করেছিল, সেই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের তিনি দেশে স্বাগত জানিয়েছেন।

তবে অর্থনৈতিক পরিকল্পনার ক্ষেত্রে আবি আহমেদ প্রতিকূলতাও রয়েছে। বিশেষ করে তরুণরা তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে বিক্ষোভও করছেন। কিন্তু এসব সত্ত্বেও মিত্রদের প্রত্যাশা, তার ব্যক্তিগত উচ্চাভিলাষ তার তার উত্থানকে দীর্ঘায়িত করবে।

ক্ষমতাসীন জোট ইথিওপিয়ান পিপল’স রেভালুশনারি ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইপিআরডিএফ) গঠনের মধ্যে দিয়ে আবি আহমেদের রাজনৈতিক উত্থান ঘটে।

প্রযুক্তির প্রতি তার আলাদা মুগ্ধতা রয়েছে। কিশোর বয়েসে তিনি সামরিক বাহিনীর একজন রেডিও অপারেটর হিসেবে যোগ দেন। সরকারে ঢোকার আগে তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবি পেয়েছিলেন। ইথিওপিয়ার সাইবার গোয়েন্দা সংস্থা ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি এজেন্সির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ছিলেন তিনি।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ