মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫ ।। ৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২৮ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :
মাদরাসা ছাত্র হাফেজ মনসুরের হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবি ড. মাহমুদুর রহমানের মায়ের জন্য দোয়ার আহ্বান পীর সাহেব দেওনার ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত, মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল মানবতা ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে: ইসলামী ঐক্যজোট আলমডাঙ্গায় পলাশি দিবসের আলোচনাসভা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের সমাপ্তি চায় ইসরায়েল: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আন্দোলনে অচল সরকারি অফিস সচলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন: ইসলামী আন্দোলন দলের কর্মীদের নিয়ে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি নেতা ইসলামি দলগুলোর শীর্ষ নেতারা কে কোথায় থেকে লড়বেন? লন্ডনে জমিয়তের ঈদ পুনর্মিলনী ও কার্যনির্বাহী কমিটির বিশেষ সভা

তিন দিনে কুরআনের হাফেজ!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: এ কথা আমরা সবাই জানি যে, কুরআন শরিফের আগে আরো অনেক আসমানি কিতাব-সহিফা নাজিল হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে কুরআন শরিফ পুরোপুরি ব্যতিক্রম। কোরআন সর্বশেষ আসমানি কিতাব।

এ কথা আমরা সবাই জানি যে, কুরআন শরিফের আগে আরো অনেক আসমানি কিতাব-সহিফা নাজিল হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে কোরআন শরিফ পুরোপুরি ব্যতিক্রম। কুরআন সর্বশেষ আসমানি কিতাব। অতএব, কিয়ামত পর্যন্ত একে অবিকৃত ও সুসংরক্ষিত রাখা হবে।

এতে কোনো ধরনের বিকৃতি ঘটবে না, এখানে পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। এটা এ কারণে নিশ্চিত হয়েছে যে কুরআন শরিফ সংরক্ষণের দায়িত্ব খোদ আল্লাহতায়ালা নিজের দায়িত্বে রেখে দিয়েছেন। তিনি আমাদের মতো মানুষের মাধ্যমেই এর সংরক্ষণ করবেন এবং তা করছেনও।

প্রতিদিন হাজার হাজার মাসুম বাচ্চা কোরআন শরিফের হাফেজ হচ্ছে। গোটা দুনিয়ার মুদ্রিত সব কোরআন একসঙ্গে আগুনে পুড়িয়ে দিলেও লাখো হাফেজের কণ্ঠ থেকে অবিকৃত কুরআন শরিফের সুরেলা আওয়াজে মুখরিত হবে তামাম দুনিয়া। সত্যিই এটা এক বিরল বিষয়। এ ধরনের নজির অন্য কোনো গ্রন্থের ক্ষেত্রে কল্পনাও করা যায় না।

আল্লাহতায়ালা কর্তৃক কুুরআন সংরক্ষণের এ ব্যবস্থাপনার নজির বিশ্ববাসী প্রায়ই দেখে। তেমনি এক অনন্য উদাহরণহিশাম বিন কালবি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি। তিনি ছিলেন একজন যুগশ্রেষ্ঠ আলেমে দীন।

তিনি একবার এমন এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে প্রায় সবাই ছিলো হাফেজ। তাই প্রত্যেকের নাম ঘোষণার সময় ‘হাফেজ-আলেম’ উপাধিসহ ঘোষণা করা হলেও তার নাম ঘোষণার সময় বলা হয় ‘হিশাম বিন কালবি অনেক বড় আলেম হলেও হাফেজ নন। এতে তিনি খুব কষ্ট পান এবং হাফেজ হতে না পারার আক্ষেপে জর্জরিত হতে থাকেন।

তিনি বলেন, এরপর আমি ভেতর থেকে হাফিজ হওয়ার আরও বেশি তাড়না অনুভব করতে লাগলাম। অবশেষে আমি হাফিজ হওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেল্লাম।

হিশাম বিন কালবি বলেন, সেই বৈঠকের তিন দিনের ভিতরেই আমি আল্লাহর রহমতে কুরআনুল কারিম মুখস্থ করে ফেললাম। এতে মানুষ খুব অবাক হয়। এবং আমাকে পরীক্ষা করতে চাইলে আমি সাগ্রহে পরীক্ষা দিতাম। (খুতবাতে জুলফিকার,কুরআন প্রেমিকদের অমর কাহিনী)

-ওএএফ/আরএম


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ