রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৬ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জাকির নায়েক ইস্যুতে ভারত সরকারের মন্তব্যের জবাব দিল ঢাকা ৭২-এর সংবিধান বাতিল করতে হবে : ইবনে শায়খুল হাদিস রিটার্নিং কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণ স্থগিত করতে পারবেন: ইসি আনোয়ারুল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ভারতীয় জেলে আটক করেছে পাকিস্তান জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন মানবে না জনগণ : মামুনুল হক ইসলামিক দলগুলো ছাড়া অন্য দলগুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই : হাসনাত আবদুল্লাহ খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করতে গোপালগঞ্জে ওলামা-মাশায়েখ  সম্মেলন অনুষ্ঠিত সৌদির শাসকদের নিয়ে যা বললেন গ্র্যান্ড মুফতি কওমি শিক্ষার্থীদের দেশ-জাতির সেবায় নিয়োজিত করার বিষয়টি কোথায় আটকে আছে? ৪ দিনের কর্মসূচির ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের

ত্রিশের পরে মা হলে যেসব বিপদে পড়তে পারেন!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: প্রতিটি নারী মা হওয়ার স্বপ্ন নিজের মধ্যে লালন করে।কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ক্যারিয়ারের দিকে বেশি ফোকাস থাকার কারণে গর্ভধারণের বিষয়টি এড়িয়ে চলেন। আবার দেখা যায়, বেশি সময় নেওয়ার কারণে বিপাকে পড়েন।

অনেক নারী ৩০বছর বা তার পরে গর্ভধারণের চিন্তা করছেন। ৩০ বা তার পরে সন্তান নিতে চাইলে আপনাকে কী ধরনের ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে তা জেনে রাখা ভালো। আসুন জেনে নেই ৩০ পরে গর্ভধারণের ফলে হতে পারে যেসব সমস্যা:

গর্ভপাতের আশংকা: বয়স যত বাড়ে, সন্তান ধারণের ক্ষমতা তত কমতে থাকে। গর্ভধারণের পর গর্ভপাতের আশঙ্কা থাকে। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে, মায়ের বয়স যত বেশি হবে , বিশেষ করে ৩৫ বছরের পরে যারা মা হোন তাদের বাচ্চাদের ডাউন সিনড্রোম বা বিভিন্ন জন্মগত ত্রুটি হওয়ার আশংকা বেড়ে যায়।

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ: যদি আপনার ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ , থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা থাকে তাহলে গর্ভাবস্থায় ঝুঁকির পরিমাণ বেড়ে যায়। শরীরের বিভিন্ন সমস্যার কারণে অপরিপক্ক বাচ্চার জন্মহার বেড়ে যায়। এই বয়সী মায়েদের বিলম্বিত প্রসব বা রক্তক্ষরণজনিত কারণে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার হার অনেক বেড়ে যায়।

২-৩ বছরের বিরতি: প্রথম সন্তান যদি ৩০-এর পর হয়, দ্বিতীয়টি নেয়ার আগে ২-৩ বছরের বিরতি নিতে হয়। এই সময় মায়ের শরীর এবং মনের ওপর চাপ বাড়ায়। গর্ভাবস্থায় বা পরে সাইকিয়াট্রিক বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

সমস্যা সমাধানে করণীয়: ৩০-এর পর মা হতে চাইলে আপনাকে আগেই একজন প্রসূতি বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে তার পরামর্শ নিয়ে গর্ভধারণ করতে হবে। স্বামীর বয়সের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

ফলিক অ্যাসিড: গর্ভধারণের আগে থেকেই ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া শুরু করুন।সবুজ পাতা সমৃদ্ধ খাবার যেমন— পুঁইশাক, পাটশাক, মুলাশাক, সরিষা শাক, পেঁপে, লেবু, ব্রকলি, মটরশুঁটি, শিম, বরবটি, বাঁধাকপি, গাজর ইত্যাদি। আম, জাম, লিচু, কমলা, আঙ্গুর, স্ট্রবেরি ইত্যাদি। বিভিন্ন ডাল যেমন— মসুর, মুগ, মাষকালাই, বুটের ডাল ইত্যাদিতে ফলিক অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান থাকে। এ ছাড়াও রয়েছে সরিষা, তিল, তিসি, লাল চাল-আটা।

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ: ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড সমস্যা, অ্যানিমিয়া আছে কিনা পরীক্ষা করুন।কার গর্ভধারণের আগে একজন নারীকে থাকতে হবে সম্পূর্ণ সুস্থ। সন্তানের ক্ষেত্রে জন্মগত ত্রুটি দেখার জন্য ১২-১৩ সপ্তাহে ডাউন স্ক্রিনিং এবং ২০-২২ সপ্তাহে অ্যানোমেলি স্ক্যান খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ