আওয়ার ইসলাম: আজ পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুম পালন ও তার নৈকট্য অর্জনের অভিপ্রায়ে সামর্থবান মুসলিমরা কুরবানি করছেন। কুরবানির পর পশুর চামড়া বিভিন্ন মাদরাসায় দান করছেন অনেকে। তবে এবারও পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দাম অনুযায়ী, ঢাকায় কুরবানির গরুর প্রতিটি ২০ থেকে ৩৫ বর্গফুট চামড়া লবণ দেওয়ার পরে ৯০০ থেকে ১ হাজার ৭৫০ টাকায় কেনার কথা ট্যানারি মালিকদের। কিন্তু রাজধানীর বিভিন্ন মাদরাসায় ঘুরে ভিন্ন চিত্র সামনে এলো।
জানা গেছে, এবার ফড়িয়া বা মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের দেখা মিলছে না। কোথাও কোথাও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় চামড়া কিনেছেন। ঢাকার বাইরে সবচেয়ে ভালো মানের কাঁচা চামড়া মাত্র ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের চামড়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। যা গত বছরও ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
আবার অনেক জায়গায় প্রতিটি কাঁচা চামড়া ১২০ থেকে ২০০ টাকার ওপরে দাম পাওয়া যাচ্ছে না। তবে গড়ে প্রতিটি চামড়া ১৫০ দামে বিক্রি হচ্ছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৮০ হাজার টাকার গরুর চামড়ার দাম দিচ্ছেন ২০০ টাকারও কম। এক লাখ টাকার গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা।
গত ৩১ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে কমদামে বিক্রি হচ্ছে পশুর চামড়া। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার চামড়ার দামে মহাবিপর্যয় নেমে এসেছে।
এদিকে, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ যতো দ্রুত পারছেন চামড়াগুলো পাইকারদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন। তবে মাদরাসা কর্তৃপক্ষও হতাশা প্রকাশ করেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, পশুর চামড়ার আশাব্যঞ্জক দাম না পাওয়ায় অনাগ্রহ তৈরি হতে পারে বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাগুলোতে। কারণ, দেশের অধিকাংশ কওমি মাদরাসায় ‘লিল্লাহ বোর্ডিং’ বছরে একবার কুরবানি চামড়া কালেকশনের মাধ্যমে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
রাজধানীর একটি মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ আরাফাতআওয়ার ইসলামকে বলেন, এবার তেমন কারোই চামড়া নেওয়ার আগ্রহ নেই। প্রতিটি দাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকার ওপরে কেউ দাম বলছে না। খালেদাবাদ কলোনির একটি মাদরাসার লোকজন ১৮০ টাকায় তাদের সংগ্রহ করা কাঁচা চামড়া বিক্রি করে দিয়েছেন।
ঢাকার বাইরের একটি মাদরাসার শিক্ষক মুফতি তৌওহিদুল ইসলাম আওয়ার ইসলামকে বলেন, কেউ চামড়ার ভালো দর ওঠাতে পারেননি। তবে গতবারের থেকে এবার মাদরাসায় ফ্রি চামড়ার সংগ্রহ বেড়েছে। মাদরাসা ওয়ালারাও ভালো দাম পাবে বলে মনে হচ্ছে না।
আরএম/
আরএম/
 
                              
                           
                              
                           
                         
                              
                           
                        
                                                 
                      
                                                  
                                               
                                                  
                                               
                                      
                                         
                                      
                                         
                                      
                                        