আওয়ার ইসলাম: জাহাজ নির্মাণ শিল্প বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক শিল্পখাত। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমুদ্র জলসীমার আয়তন ৯০০০ বর্গ কিমি এবং দেশের প্রায় ৭০০ ছোট-বড় নদীর ২৪ হাজার কিমি দীর্ঘ নদীপথ অভ্যন্তরীণ জলসীমা হিসেবে নৌপরিবহণের কাজে ব্যবহার হয়।
এই শিল্প খাতে এখন দেড় লক্ষাধিক দক্ষ ও অর্ধদক্ষ শ্রমিক বর্তমানে কাজ করছে এবং প্রায় ২০ লাখ মানুষ নানাভাবে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সাথে জড়িত।
বর্তমান সময়ে তৈরি পোশাকের পর জাহাজ নির্মাণ শিল্প হতে পারে রপ্তানি আয়ের দ্বিতীয় প্রধান খাত। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি বলছে, কম সময়ে, কম দামে ছোট ও মাঝারি জাহাজ নির্মাণের জন্য আদর্শ হতে পারে বাংলাদেশ। একেকটি জাহাজ নির্মাণে এক হাজারগুণ পর্যন্ত মূল্য সংযোজনের সুযোগ রয়েছে।
চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করছে আরো অন্তত আটটি ছোট ও মাঝারি জাহাজ। যেগুলো রপ্তানি হবে ভারত, নরওয়েসহ বিভিন্ন দেশে।
উদ্যোক্তারা বলেন, দেশের ভেতরে জাহাজের বাজার এখন প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। নীতি সহায়তা পেলে দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বছরে এক বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করা সম্ভব। এটা শ্রম শিল্প হওয়ায় লাখো শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে।
সস্তা, কিন্তু দক্ষ শ্রমিক ও কম সময়ে নির্মাণের সক্ষমতা, জাহাজ নির্মাণ শিল্পে সহজেই বিশ্ববাজারে অবস্থান করে নিতে পারে বাংলাদেশ। এমনটাই মনে করছে এডিবি।
থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ছাড়াও ইউরোপের অনেক দেশে বাড়ছে ছোট ও মাঝারি আকারের জাহাজের চাহিদা। তাছাড়া ভারত, মিয়ানমার, চীন ও আসিয়ান দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক যোগযোগ বৃদ্ধি এতে নতুন মাত্রা যোগ করছে, বলে মনে করে এডিবি।
উদ্যোক্তারা বলেন, জাহাজ নির্মাণ শিল্পের বৈশ্বিক বাজার প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার। অন্য দেশের তুলনায় ১৫ ভাগ কম খরচে জাহাজ নির্মাণ করতে পারে বাংলাদেশ।
এএফ