বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১৩ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র চাইলে বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের সংসদে পাঠাতে হবে : মোহাম্মদ আলী জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হওয়া ছাড়া নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই : নাহিদ ইসলাম তালাক নয়, সংশোধনেই সমাধান: শায়খ আহমাদুল্লাহ শহীদের রক্তের বদলা ইসলামের বিজয়ের মাধ্যমেই নেওয়া হবে : মাসুদ মেট্রোরেল নিরাপদ, যাত্রীদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ ডিএমটিসিএলের দেশকে বিএনপি তিনবার ও আ.লীগ একাধিকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিল: চরমোনাই পীর টেকসই গণতন্ত্র, সুশাসন ও জবাবদিহিতা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় : মাসুদ সাঈদী আফগান শান্তি আলোচনা ভেঙে যাওয়ার কারণ ভারত: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অবৈধ মোবাইলের ব্যবহার বন্ধ করতে চালু হচ্ছে এনইআইআর সিস্টেম ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বিমানের সফল উড্ডয়ন

হজের সময় নবীজী সা. যোহর ও আসর নামাজ কেন কসর করেছিলেন?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মদ
অাওয়ার ইসলাম

বিদায় হজের সময় রাসূলুল্লাহ সা. সাহাবায়ে কেরামদেরকে নিয়ে জোহর আসর একসাথে আদায় করেছিলেন। বিদায় হজ সম্পর্কে যাবের রা. এর হাদিসে এসেছে, ‘নবী রা. উপত্যকার মধ্যখানে এলেন। তিনি লোকজনকে লক্ষ্য করে খোতবা দিলেন।

অতঃপর আজান দেয়া হল, একামত হল, এবং তিনি যোহরের সালাত আদায় করলেন। এরপর একামত হল এবং তিনি আসরের সালাত আদায় করলেন। এ দু’য়ের মাঝখানে অন্য কোনো সালাত আদায় করলেন না।”

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কসর করেছিলেন। হজের ব্যতিক্রম আমল নয়, বরং মুসাফির হিসেবেই তিনি কসর করেছিলেন।

কারণ, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে যাওয়ার পূর্বে যাত্রা শুরু করতেন তাহলে যোহরের নামাজকে বিলম্বে আসরের নামাজের সাথে আদায় করতেন। আর যদি সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলার পর যাত্রা শুরু করতেন তাহলে যোহর ও আসর একসাথে পড়েই যাত্রা শুরু করতেন।

আনাস ইবনু মালিক রা. সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে মাদীনাহ হতে মাক্কাতে রওয়ানা হলাম। আমরা মাদীনাতে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত তিনি দু’ রাক‘আত করে সলাত আদায় করেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা কি সেখানে কিছু কাল অবস্থান করেছেন? তিনি বললেন, আমরা দশদিন অবস্থান করেছিলাম। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১২৩৩]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতহে মক্কার সময় চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাযগুলো দুই রাকাত পড়তেন এবং নামায শেষে শহরবাসীদের উদ্দেশে বলতেন, হে শহরবাসী, তোমরা চার রাকাত পূর্ণ কর, আমরা মুসাফির। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১২২৯}

আরও পড়ুন :রাসুল সা. যেভাবে চুলের পরিচর্যা করতেন


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ