বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫ ।। ১১ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২৯ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাচনে সভাপতি রিফাত, সম্পাদক ইনামুল তেহরান থেকে দে‌শের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন ২৮ বাংলাদেশি ২৭ জুন ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, সফল করার আহ্বান  ইবনে শাইখুল হাদিসের সঙ্গে ছাত্র মজলিস ঢাবি শাখা নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ লন্ডনে খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মাহফিল সারা বিশ্বে একই দিনে রোজা-ঈদ নিয়ে বাহাসে হক্কানি আলেমদের বিজয় ১৯ জুলাই ঢাকায় জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ দিতে আইনি কোনো বাধা নেই আওয়ার ইসলাম আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও পিআর পদ্ধতি চায় জামায়াত

ছাত্রদের আটক করার আগে আমাদের আটক করতে হবে; ঢাবি অধ্যাপক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রোববার ২২ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষা কর’ শিরোনামে এক মানববন্ধনে বিশিষ্ট গবেষক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলের ঘটনা বাংলাদেশে প্রথম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নারী নির্যাতন

‘সচেতন শিক্ষকবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে আয়োজিত এ মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা অংশ নেন।

সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, কয়েকদিন ধরে কয়েকজন শিক্ষকের নাম অব্যাহতভাবে মনে আসছে। তারা হলেন, স্যার পি জে হাটর্গ, অধ্যাপক আহমেদ ফয়জুর রহমান, অধ্যাপক রমেশ চন্দ্র মজুমদার। এই অধ্যাপকরা কোনো শিক্ষার্থীর সামান্য ইনফ্লুয়েঞ্জা হলেও ছাত্রদের কাছে ছুটে যেতেন। এমনও হয়েছে রাত ২-৩টা পর্যন্ত সঙ্গে থাকতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যিনি উপাচার্য তিনি শিক্ষার্থীদের যেমন শিক্ষক, তেমন অভিভাবকও।

সুফিয়া কামলা হল থেকে ছাত্রীদের বের করে দেয়ার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, উপাচার্য বলেছেন অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এটা আমার কাছে অত্যন্ত বেদনাদায়ক মনে হয়েছে। বাংলাদেশে এই প্রথম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোনো নারী নির্যাতিত হলো। সেটা হলো বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ভূখণ্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। সুতরাং, এটা আমাদের সবার জন্য লজ্জার। আমি শুধু এটা বলবো প্রাতিষ্ঠানিক নারী নির্যাতনের ঘটনা এটাই যেন সর্বশেষ হয়।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে আমরা শিক্ষকরা আছি। তোমাদের যে কোনো ন্যায্য দাবির সঙ্গে আমরা আছি, পাশে থাকবো। যদি ছাত্রদের হয়রানি করা হয়, তাহলে শিক্ষকরা সমুচিত জবাব দেবেন। ছাত্রদের আটক করার আগে আমাদের আটক করতে হবে।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ৬টি লিখিত দাবি পাঠ করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খান।

সেগুলো হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষার পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে হবে; তাদের মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে; ক্যাম্পাসে সব শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; বিধিসম্মত সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ছাড়া অন্য কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না; রাষ্ট্রীয় বাহিনী কিংবা বেসরকারি কোনো গোষ্ঠী দ্বারা কোনো ছাত্র-ছাত্রী যেন আক্রান্ত না হয় সে জন্য অবিলম্বে একটি বিশেষ সেল গঠন করতে হবে।

এইচজে


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ