শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


দু’জনের দু’পায়ে ফিরলো জীবনের ছন্দ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবরার আবদুল্লাহ
বিশেষ প্রতিবেদক
 
ফিলিস্তিনের দুই তরুণ। একজনের নেই ডান পা এবং অপরজনের বাম পা। ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় পা হারিয়েছেন দুজনেই। কিন্তু দু’জনার দু’পায়ে জীবনের ছন্দ খুঁজে নিয়েছেন তারা। পূর্ণতা এসেছে তাদের জীবনযাপনে।
 
দু'জনের দুই পা ব্যবহার করে মোটর সাইকেল চালান তারা। এক জোড়া জুতা কিনে ব্যবহার করেন দুজনে।
 
এভাবেই গড়ে উঠেছে তাদের সহযোগিতা ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক।
 
তাদের একজনের নাম মানসুর গুরুন। বয়স ২৪। আরেকজন তার চেয়ে এক বছরের বড়ো, ২৫ বছর বয়সী তরুন- আদলি হাসান আবিদ।
 
২০১১ সালের অগাস্ট মাসে গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় পা হারান মানসুর। এর আট মাস পর একই ধরনের হামলায় পা হারান আদলি, ২০১২ সালের মার্চ মাসে।
মানসুর ও আদলি এখন একসাথে চলাফেরা করেন। এক সাথে বজার, খেলার মাঠ ও ঘুরতে যান।
 
আদলি বলেন, ‘আমরা যখন মোটর সাইকেল চালাই তখন মানসুর তার এক পা দিয়ে গিয়ার বদলায়। ফলে আমাকে আর নিচু হয়ে হাত দিয়ে সেটা করতে হয় না। মানসুর যাতে তার পা দিয়ে গিয়ার বদলাতে পারে সেজন্যে আমি ওকে পেছনে বসাই। এভাবেই আমরা দু'জনেই একজন পরিপূর্ণ মানুষ।
 
একবার মোটর সাইকেলে ঘুরতে গিয়ে একবার তারা দুর্ঘটনার কবলেও পড়েছিলেন। তবে বিষয়টি একটু মজারও।
 
বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়ি তাদের মোটর বাইককে ধাক্কা দিলে মানসুর ছিটকে পড়েন একদিকে। আদলি অন্যদিকে।
 
তখন গাড়ি থেকে বৃদ্ধ চালক বেরিয়ে এসে দেখতে পান তাদের দু'জনেরই একটি করে পা নেই। তখন তিনি হাউমাউ করে কাঁদছিলেন, হায় হায় আমি তোমাদের পা কেটে ফেলেছি।
 
আদলি বলেন, "আমি বুঝতে পারছিলাম না তখন আমি হাসবো নাকি ব্যাথায় কাঁদবো।"
 
মানসুর এবং আদলি - তারা দু'জনেই এখন সারা শহরে ঘুরে বেড়ান। তারা বলছিলেন, পা না থাকার কারণে তারা চুপ করে ঘরে বসে থাকবেন না।
সূত্র : বিবিসি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ