বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫ ।। ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জামায়াত আমিরের সঙ্গে ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ বাংলাদেশ সফর শেষে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন মাওলানা ফজলুর রহমান ৫ দফা বাস্তবায়নে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে, ৩০ নভেম্বর থেকে বিভাগীয় কর্মসূচি: আটদল  ডিসিদের বাদ দিয়ে ইসি থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি বিএনপির পাক-আফগান নিজেদের সমস্যা সমাধান করুক, ভারত তা চায় না: খাজা আসিফ হজযাত্রীদের জন্য বিশ্বের প্রথম ‘কুলিং ইহরাম’ আনলো সৌদি আরব ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ বিশ্ব শিশু দিবস: শীতকালে শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষা ও সুস্থতা নিশ্চিত করার উপায় গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ : সিইসি নোয়াখালীতে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ 

সেনারা মায়ের পেট কেটে বাবুকে বের করে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইকবাল আজিজ, টেকনাফ প্রতিনিধি

রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তথাকথিত ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ এর ভয়াবহ বিবরণ নির্যাতিত মানুষের বয়ানিতে উঠে এসেছে। তার একটি যেনো অন্যটিকে হার মানায়। এ নির্মমতার সাক্ষী নারী, পুরুষ, শিশু কিশোর সব বয়সী মানুষ। ৭ বছরের এক শিশুর কাছে একটি বিবরণ শুনে গা শিউরে উঠলো। শিশু আয়াতুল্লাহর সে গল্প পাঠকের সামনে তুলে ধরা হলো।

২৭ আগস্ট কালো রাতে, সাড়ে ১০টার সময় সশস্ত্র মিয়ানমার সেনা ও বিজিপি ১০/১৫জন সদস্য আমাদের বাড়ি গিয়ে প্রথমে বাবাকে বেঁধে ফেলে। এরপর মাকে আমাদের সামনে বিবস্ত্র করে নানান নির্যাতন করে এবং এক পর্যায়ে তাকে গুলি করে হত্যা করে তারা।

তখন আমার মায়ের পেটে বাবু ছিলো। সেনারা আমার মার পেট কেটে বাবু বের করে।

তখন বাবা চিৎকার দিয়ে উঠলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমার বাবাকে মারধর করে শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।

এরপর তারা আমাদের ঘর থেকে বের করে দেয়। মা আর বাবুকে ফেলে আমি আর বাবা পালিয়ে আসি। অনেকদিন পাহাড়ে-বনে-জঙ্গলে অনাহারে অনাধারে পায়ে হেটে পৌছি কোয়াংছিবন সীমান্তে।

বাবা আর আমি আঞ্জুমানপাড়া দিয়ে বাংলাদেশে আসি। বর্তমানে আমরা কুতুপালং টিভি রিলে কেন্দ্রের পশ্চিম পার্শ্বে ঝুঁপড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছি।

বাবা আর আমি ছাড়া আর নেই পরিবারে।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে তার সাথে দেখা হয় টিভি রিলে কেন্দ্রে সামনে অন্যান্য রোহিঙ্গা শিশুদের সাথে খেলার ছলে।

তার বাবার নাম মোঃ শামশুল আলম, মায়ের নাম ছিল দিলবাহার। তারা মিয়ানমারের বলিবাজার ধুমবাই এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার অনেক ধন সম্পদ ছিল মিয়ানমারে কিন্তু সেদিকে না থাকিয়ে কোন রকম জীবন রক্ষার্থে আমরা বাংলাদেশে চলে আসতে বাধ্য হয়।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ