শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫ ।। ৮ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৯ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
গাজার সংকট নিয়ে মেলানিয়া ট্রাম্পকে এরদোয়ানের স্ত্রীর চিঠি রংপুর বিভাগে ৩৩ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুধাবন না করলে রাজনীতিতে ভবিষ্যৎ নেই: আমির খসরু উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে আনসার বাহিনীকে গড়ে তোলা হচ্ছে : মহাপরিচালক ডেঙ্গুতে আরও চারজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৪৭ দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়াই করে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হবে: অধ্যক্ষ মাসউদ খান পাঁচ বিভাগের ৫৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল জমিয়ত ভোলায় উপজেলা সহকারী কমিশনার’র বদলি ঠেকাতে মানববন্ধন  শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে ব্যবহার জুলুম: জাতীয় মসজিদের খতিব সময় টিভির সাংবাদিকদের ওপর হামলায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নিন্দা

রোহিঙ্গা গণহত্যা : আন্তর্জাতিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত মিয়ানমার সরকার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি এবং দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং লাইংসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে একটি আন্তর্জাতিক গণআদালত।

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে প্রতিষ্ঠিত ‘পার্মানেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনাল’-এর আট সদস্যের বিচারক প্যানেল আজ (শুক্রবার) সকালে এ রায় দেন।

মালয়েশিয়ার স্টার অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয় ইউনিভার্সিটির আইন অনুষদে গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচ দিন এই গণ আদালতের শুনানি চলে। ট্রাইব্যুনালের সভাপতি আর্জেন্টিনার সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের প্রতিষ্ঠাতা দানিয়েল ফিয়েরেস্তেইন শুক্রবার গণ আদালতের রায় ঘোষণা করে বলেন, তাদের বিচার মিয়ানমারের শাসক গোষ্ঠী গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।

গণআদালতের এ রায় জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ও গোষ্ঠীর কাছে পাঠানো হবে।

শুনানিতে রোহিঙ্গা ও কাচিন সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত রাষ্ট্রীয় অপরাধের বর্ণনা দেন। আদালতে আমেরিকার জর্জ মাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্ট্যাডিজ অ্যান্ড প্রিভেনশনের গবেষক অধ্যাপক গ্রেগরি স্ট্যানটন জবানবন্দি দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী, পুলিশ, অন্যান্য বৌদ্ধ মিলিশিয়া এবং দেশটির বর্তমান বেসামরিক সরকার অভিযুক্ত। রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে তিনি বলেন, তারা মিয়ানমারের সর্বস্তরে বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার।

শুনানিতে রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেন আদালতের মুখ্য কৌঁসুলি দেরিন চেন ও উপ-মুখ্য কৌঁসুলি আজরিল মোহাম্মদ আমিন।

ট্রাইব্যুনালে মিয়ানমারে মুসলিম নিপীড়ন বিষয়ে সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। পরে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সমাপনী বক্তব্য শেষে বিবাদী পক্ষ বক্তব্য রাখেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দিনভর বিচারকমণ্ডলীর সদস্যরা তাদের বক্তব্য পেশ করেন। রায়ের খসড়া নিয়ে তারা পর্যালোচনা করেন।

পার্মানেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনাল ১৯৭৯ সালে ইতালিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আন্তর্জাতিক সদস্য সংখ্যা ৬৬। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ৪৩টি অধিবেশনে এই ট্রাইব্যুনাল মানবাধিকার এবং গণহত্যাসহ বহু মামলার গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে।ল্যাটিন আমেরিকার স্বৈরশাসকদের বিচারের জন্য যে রাসেল ট্রাইব্যুনাল হয়েছিল তারই ধারাবাহিকতায় এই ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে। এই ট্রাইব্যুনালের বিচার এবং রায়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্ব বিবেক জাগ্রত করা। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের অধিকারের বিষয়টি বিশ্বের সামনে তুলে ধরা। এই ট্রাইব্যুনালে রোহিঙ্গা ছাড়া মিয়ানমারের অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীর ওপর নির্যাতনের চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে।

আরএম


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ