রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে বেফাকের একাত্মতায় পীর সাহেব মধুপুরের অভিনন্দন ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরগিরির দায়ে জাতিসংঘের সাত কর্মীকে বন্দি হুথির ইসকন নিষিদ্ধের দাবি মুফতী নিজাম উদ্দিন আল আদনানের বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ঢাকা মহানগর কমিটি গঠিত নভেম্বরের মধ্যে গণভোটে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে: ইবনে শাইখুল হাদিস ৫ দফা দাবিতে বিভাগীয় শহরে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মজলিসে শুরার অধিবেশনে ৯ প্রস্তাব ক্ষমতায় গেলে বিএনপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক পদ সৃষ্টি করবে বেফাক নেতৃবৃন্দের আহ্বান ও একাত্মতা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের ৮ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত

ঈদের রাতে নাজাতের ডাক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাজী জোনায়েদ আহমদ : রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। চারদিকে আনন্দের বন্যা বইছে। ইসলাম ধর্মে আনন্দ উৎসবের জন্যই এ ঈদের বিধান। তবে আনন্দের সীমানা পেরিয়ে উন্মাদনার শেষ সীমানায় পৌঁছানো মারাত্মক গুনাহ। আমরা ভুলে যাই আমাদের উৎসবের নিগূঢ় রহস্য।

দু:খজনক হলেও সত্যি মুসলমানদের ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর এ ঈদে আমাদের অনেককেই দেখা যায়, অপসংস্কৃতির ছোঁয়ায় ডিসকো গানের আয়োজন করে। পরিতাপের বিষয় হলো, সে ঈদের মূল রহস্যটাই ভুলে গেছে। অথচ মহান আল্লাহ তাআলা এ রাতকে শবেবরাত ও শবেকদরের মতোই সর্বোচ্চ ফজিলত দিয়ে মহিমান্বিত করেছেন। এ রাতে ইবাদতের জন্য, তাঁর স্বীয় মুমিন বান্দাদের জন্য পুরষ্কার হিসেবে ঘোষণা করেছেন জান্নাতের।

নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, যে দুই ঈদের রাতে সওয়াবের নিয়তে ইবাদত করবে, তার অন্তর সেদিন মরবে না, যেদিন অন্যদের অন্তর মরে যাবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) সম্পর্কে বর্ণিত আছে, তিনি দুই ঈদের রাত জেগে থেকে ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়ে দিতেন। হজরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রা.) আদি বিন আরতকে বললেন, চারটি রাতকে খুবই গুরুত্ব দিবে। যেমন- ১ রজবের রাত, শবেবরাত, ঈদুল ফিতরের রাত ও ঈদুল আজহার রাত। আল্লাহ তাআলা এসব রাতে অশেষ রহমত বর্ষণ করেন (তালখিসুল খাবির)। ঈদের রাতটি (চাঁদরাত) মুমিনদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। এ রাতকে ইবাদতের মাধ্যমে জীবন্ত রাখার ফলে মুমিনের জন্য জান্নাত ওয়াজিব হওয়ার সুসংবাদ রয়েছে। তাই এই রাতে অনর্থক কোনো কাজে লিপ্ত না হয়ে তার যথাযথ মর্যাদা দেওয়াই একজন প্রকৃত মুমিনের জন্য বাঞ্ছনীয়।

হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা. হতে বর্ণিত, নবী সা.বলেছেন, যে ব্যক্তি পাঁচ রাত জেগে থাকবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব। সেই পাঁচটি রাত হলো:
১. জিলহজ মাসের ৮ তারিখের রাত।
২. জিলহজ মাসের ৯ তারিখের রাত।
৩. ঈদুল আজহার রাত।
৪. ঈদুল ফিতরের রাত।
৫. ১৫ শাবানের রাত।

তাই এ রাতে অবৈধ আনন্দ বিনোদনের পিছনে না পরে, বরং মহান আল্লাহর ঘোষিত পুরষ্কারের জন্য চেষ্টা করবে। তাছবিহ-তাহলীল, নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত সহ বিভিন্ন ইবাদতের মাধ্যমে এ রাত কাটাবে। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হন। আমিন।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ