শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫ ।। ৭ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৮ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ভোলার জনবান্ধব এসিল্যান্ড মেহেদী হাসানের বদলি আদেশ বাতিল চায় উপজেলাবাসী ছাত্রশিবির ক্ষমতার রাজনীতি করে না: শাবিপ্রবি সভাপতি আল-মারকাজুল ইসলামীর উদ্যোগে ভাসানচরে ৩,০০০ পরিবার পাচ্ছে খাদ্য সহায়তা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে কোনো আপোষ নয়: লুৎফুজ্জামান বাবর লুটপাট-চাঁদাবাজি বন্ধে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই : মুজিবুর রহমান নির্বাচন বিলম্ব হলে দেশ ভয়ংকর ক্ষতির মুখে পড়বে: ডা. জাহিদ রায়ের পরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: আলাল পুতিন শান্তি আলোচনায় অনাগ্রহী: জেলেনস্কি হাটহাজারীতে হেফাজত নেতা মাওলানা জাহাঙ্গীর মেহেদীর ইন্তিকাল ৫৮ শতাংশ মার্কিনি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে: রয়টার্স

পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে বিচারপতি অপসারণ কীভাবে সম্ভব?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আপত্তি করেছেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা।

তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনী অনুসারে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলে এ বিষয়ে সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে তখন কী হবে?

বৃহস্পতিবার বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানিতে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে আজ সপ্তম দিনের মতো শুনানি হচ্ছে। শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে আজ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ তার লিখিত বক্তব্য দেন।

শুনানির এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'শাসনতন্ত্রের সবচেয়ে পবিত্র আইন তারা সংরক্ষণ করেন। এখানে এমন কিছু সন্নিবেশিত করা হল, যাতে শূন্যতা সৃষ্টির সুযোগ আছে! কারও (বিচারক) বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা (সংসদে) না থাকলে তখন কী হবে (বিচার বিভাগের)! এটি ভাবিয়ে তুলেছে।'

এর আগে গত ৮, ৯ এবং ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ মে এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় আপিল শুনানিতে সহায়তার জন্য ১২ আইনজীবীকে আদালতের বন্ধু (অ্যামিকাস কিউরি) হিসেবে নিয়োগ দিয়ে তাদের লিখিত বক্তব্য আদালতে জমা দিতে বলেন আপিল বিভাগ।

অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ১২ আইনজীবী হচ্ছেন- বিচারপতি টি এইচ খান, ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, এ এফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, ফিদা এম কামাল, ব্যারিস্টার আজমালুল হক কিউসি, আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া ও এম আই ফারুকী।

বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে আনতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস করা হয়। পরে ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

আদালতে বাংলা চালু না হওয়ায় আমরা দুঃখিত: প্রধান বিচারপতি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ