বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

শিশুর খাবার; গরুর দুধ ও সুজি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

child_khabarসুজি : ডাক্তাররা বাচ্চাদের এক বছরের আগে সুজি দিতে মানা করেন। কিন্তু দাদি– নানিরা বলেন সুজি না খেলে বাচ্চা পুষ্টি পাবেনা ও মোটাসোটাও হবে না।

ডাক্তাররা না করার পরেও বাচ্চাকে সুজি খাওয়ানোর জন্য অনেকেই জোর করে। সুজি রান্না করতে সময় কম লাগে, রান্না করাও সহজ এবং বাচ্চারা খায় বলে অনেক মা ৬ মাসের পর থেকেই বাচ্চাকে খিচুড়ি না দিয়ে সুজি খাওয়ানো শুরু করে। অনেকে সুজির সাথে চালের গুড়াও দেন। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন সুজি খাওয়া বাচ্চাদের সাস্থ ভালো হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন বাচ্চাটা আসলে একধরনের রোগে ভুগছে?

সুজি, চালের গুড়া এবং চিনি এই তিনটাই কার্বোহাইড্রেট।। কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা বেশি খেলে শরীরের  Osmotic  pressure কমে যায়। কারণ Osmotic pressure এর জন্য দায়ী প্রোটিন যা কম খাওয়ার জন্য বা না খাওয়ার জন্য এই Osmotic pressure অনেক কমে যায়। যার ফলে পানি বা তরল কোষের চলে এসে চামড়ার নীচে জমা হয়ে ইডিমার সৃষ্টি করে।বাচ্চাকে দেখতে তখন মোটাসোটা লাগে। এসব বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। কিন্তু এই সুজিকেই অনেক পুষ্টিকর খাবার বানানো যায় যদি তা দুধ ডিম ও ঘি দিয়ে রান্না করা হয়।

গরুর দুধ : গরুর দুধ এক বছরের কম বয়সী শিশুদের মোটেও দেয়া উচিৎ নয়।এটা এমন একটি  খাদ্য যাতে রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মতো খনিজ পদার্থপূর্ণ। এতে সোডিয়াম থাকে মায়ের দুধের চার গুণ, পটাশিয়াম তিন গুণ, ফসফরাস ছয় গুণেরও বেশি।

এক বছরের কম বয়সী শিশুদের কিডনি এমনিতেই অপরিণত থাকে, এই অতিরিক্ত মাত্রার খনিজ নিষ্কাশনে কিডনি বহু সমস্যার সম্মুখীন হয়।দুধে প্রোটিনের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি থাকে বলে প্রোটিন হজম ও বিপাক করতেও এক বছরের কম বয়সী শিশুর মারাত্মক অসুবিধা হয়।

এছাড়া দুধে আছে ক্যাসিনের আধিক্য, আক্সহে বিটা ল্যাকটোগ্লোবিন ফলে শিশু এলার্জি, অ্যাকজিমা, চুলকান, শ্বাসকষ্ট, পেটের সমস্যা, আন্ত্রিক প্রদাহ, মলে রক্তক্ষরণ ইত্যাদি সমস্যায় ভুগে। দুধে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড না থাকায় শিশুর মগজের বিকাশ বাঁধাগ্রস্ত হয়।প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ, সি ও ই কম থাকায় ভিটামিনের স্বল্পতাজনিত রোগ রাতকানা, স্কার্ভি ইত্যাদি হতে পারে।মায়ের দুধে আছে রোগপ্রতিরোধক ইমিউনোগ্লোবিউলিন, লিউকোসাইট, ম্যাকোনেজ, ম্যাক্রোফেজ নিউট্রোফিল যা গরুর দুধে নাই।ফলে গরুর দুধ পানকারী এক বছরের কম বয়সী শিশু সহজে রোগে আক্রান্ত হয়।

সব দিক বিবেচনা করে তাই ১ বছরের কম বয়সী শিশুদের গরুর দুধ দেয়া উচিৎ না।তবে দুধের তৈরি খাবার দেয়া যাবে।

নায়লাহ আমাতুল্লাহ
বায়োকেমিস্ট্রিতে অনার্স ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ মাস্টার্স


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ