 ঢাকা আইনজীবী সমিতির (বার) ২০১৭-১৮ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল জয় পেয়েছে। মোট ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে বিজয়ী হয়েছেন নীল প্যানেলের আইনজীবীরা।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির (বার) ২০১৭-১৮ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল জয় পেয়েছে। মোট ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে বিজয়ী হয়েছেন নীল প্যানেলের আইনজীবীরা।
বুধ ও বৃহস্পতিবার এই নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ হয়। শুক্রবার শেষরাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোন্দকার আবদুল মান্নান ফলাফল ঘোষণা করেন।
মোট ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে বিজয়ী হয়েছেন নীল প্যানেলের আইনজীবীরা। এদের মধ্যে ৯টি সম্পাদকীয় ও ১২টি সদস্য পদ পেয়েছেন তারা।
অন্যদিকে ট্রেজারারসহ ৬টি পদে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের আইনজীবীরা। এদের মধ্যে ৩টি সম্পাদকীয় ও ৩টি সদস্য পেয়েছেন তারা।
নির্বাচনে নীল প্যানেলে ৯টি সম্পাদকীয় পদে বিজয়ীরা হলেন- সভাপতি খোরশেদ আলম, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম খান বাচ্চু, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. রুহুল আমিন, সহসভাপতি কাজী মো. আব্দুল বারিক, জ্যেষ্ঠ সহসাধারণ সম্পাদক মো. সারয়ার কায়সার (রাহাত), সহসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, লাইব্রেরি সম্পাদক আবুল কালাম আযাদ, দফতর সম্পাদক মো. আফানুর রহমান (রুবেল) ও ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম (কাইয়ুম)।
অন্যদিকে সাদা প্যানেলের ৩ সম্পাদকীয় পদে বিজয়ীরা হলেন- ট্রেজারার মো. হাসিবুর রহমান দিদার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক প্রহলাদ চন্দ্র সাহা পলাশ।
নীল প্যানেলের বিজয়ী ১২ জন সদস্য হলেন- আরিফ হোসাইন তালুকদার, মো. আনোয়ার পারভেজ কাঞ্চন, মো. শহিদুল্লাহ, মো. শওকত উল্লাহ, মোহাম্মাদ আবুল কাশেম, মোস্তফা সারওয়ার মুরাদ, মোস্তরী আক্তার নুপুর, মিনারা বেগম, পান্না চৌধুরী, সৈয়দ মোহাম্মাদ আমিনুল হোসাইন পান্নু ও তামান্না খানম এরিন।
অন্যদিকে সাদা প্যানেলের ৩ জন বিজয়ী হলেন- মাহমুদুল হাসান অমি, মো. আল-আমিন সরকার ও ওয়ায়েস আহমেদ কায়েস।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ১৯৭ জন। ৮ হাজার ৯১০ জন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এবার দুই প্যানেলে ৫৪ জন প্রার্থী হন। স্বতন্ত্র থেকে লড়েন দু’জন।
এবার সমিতির নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন খোন্দকার আবদুল মান্নান। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ১৯ জন এবং ১৮১ জন সদস্য কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এর আগে ২০১৬-১৭ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে জয়ী হয়েছিলেন আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীরা। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল পেয়েছিলেন ৬টি পদ।
এআর
 
                              
                           
                              
                           
                         
                        
                                                 
                      
                                                  
                                               
                                                  
                                               
                                      
                                         
                                      
                                         
                                      
                                        