বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

হেফাজতে নেই মুফতি ইজহার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সালাহ উদ্দিন সায়েম : pc-3_154595লালখান বাজার ‘জামেয়াতুল উলূম আল-ইসলামিয়া’ মাদরাসার পরিচালক মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী হেফাজতে ইসলামে নেই বলে জানা গেছে।

গত শুক্র ও শনিবার নগরের লালদীঘি মাঠে হেফাজতের দুই দিনব্যাপী ‘শানে রেসালাত সম্মেলনে’ আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বাংলাদেশ নেজামে ইসলামী পার্টির একাংশের সভাপতি মুফতি ইজহারকে।

এনিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে। মুফতি ইজহারুল ইসলামের ছেলে হেফাজতের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুফতি হারুন বিন ইজহার বিষয়টি নিয়ে গেল রোববার ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিলে হেফাজত নেতাকর্মীদের মধ্যে সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

লালদীঘি মাঠে হেফাজতের সম্মেলনে যোগ দিতে হাটহাজারী থেকে আসার পথে সংগঠনটির আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী গত শুক্র ও শনিবার দুই দিনই লালখান বাজার মাদরাসায় গিয়েছিলেন। শুক্রবার দুপুরে তিনি সেখানে মুফতি ইজহারের সাথে জুমার নামাজ আদায় করেন। এরপর তারা একসাথে বসে ভাত খান। পরে তারা একান্তে আলাপচারিতাও করেন।

লালদীঘি মাঠে আয়োজিত হেফাজতের শানে রেসালাত সম্মেলনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাঈনুদ্দিন রুহী। তিনি ইসলামী ঐক্যজোট চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি।

এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি গতকাল সুপ্রভাত বাংলাদেশকে বলেন, ‘হেফাজতের আমীর ও মহাসচিবের নির্দেশে শানে রেসালাত সম্মেলনে মুফতি ইজহারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তারা যাদের আমন্ত্রণ জানাতে বলেছেন আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’

মুফতি ইজহারকে আমন্ত্রণ না জানানোর কারণ জানতে চাইলে এ হেফাজত নেতা বলেন, ‘তিনি তো এখন হেফাজতের কোনো দায়িত্বে নেই। তিনি নিজেকে হেফাজতের নায়েবে আমীর হিসেবে পরিচয় দিলেও সংগঠনের এ পদে তার নাম নেই।’

মাঈনুদ্দিন রুহী আরো বলেন, ‘তিনি বিগত সময়ে হেফাজতের সম্মেলনে এসে বিভিন্ন বিতর্কিত কথাবার্তা বলেছেন। হেফাজতকে বিতর্কিত করেছেন। তাই হেফাজতের আমীর ও মহাসচিব তাকে সংগঠনের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।’

২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর লালখান বাজার মাদরাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ২৭ ডিসেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান মুফতি ইজহার।

মুফতি হারুন ইজহারের ফেসবুক স্ট্যাটাস বিষয়ে জানতে চাইলে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাঈনুদ্দিন রুহী বলেন, ‘তিনি ফেইসবুকে এ স্ট্যাটাস দিয়ে সংগঠনের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করেছেন। বিষয়টা নিয়ে শীঘ্রই সংগঠনের কার্যনির্বাহীর বৈঠক ডাকা হবে। সেখানে তার কাছে এর ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।’

সূত্র : সুপ্রভাত বাংলাদেশ

এআরকে


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ