বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

সীমান্ত খুলে দিয়েছে চীন; আহতদের দিচ্ছে চিকিৎসাও

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

myanmar-peopleআওয়ার ইসলাম: মিয়ানমারের গণহত্যার ভয়াবহতার মুখে এগিয়ে এল চীন সরকার। দেশটি মিয়ানমারের চলমান সংঘাত থেকে রক্ষায় পালিয়ে আসাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে।

মিয়ানমারের চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে সাম্প্রতিক এ হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। পাশাপাশি দ্রুত বিষয়টি নিরসনে দেশটির সকল রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানায়।

রবিবার থেকে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের চীন সীমান্তে তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি, কাচিন ইনডিপেন্ডেন্স আর্মি ও মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স আর্মি নামে তিনটি বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে সেনাবাহিনীর লড়াই চলছে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের ধ্বংস করতে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। উত্তর সীমান্তবর্তী মুসে এবং কুটকাই শহরের কাছে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর ফাঁড়ির ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায় এ তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী গ্রুপ। পরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৮ জন নিহত হয়।

লড়াই থেকে বাঁচতে ওই অঞ্চলের অসংখ্য বাসিন্দা এলাকা ত্যাগ করে চীনের দিকে যাচ্ছেন। মানবিক কারণে চীনও সীমান্ত পেরিয়ে চলে যাওয়া এসব লোকদের গ্রহণ করেছে। চীনের হাসপাতালগুলোতে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অসুস্থ ও আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

অবশ্য গত ৯ নভেম্বর থেকে দেশটির বাংলাদেশ সংলগ্ন রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ নিয়ে চীনা দূতাবাসের বিবৃতিতে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

এদিকে রাখাইন প্রদেশে গত রবিবার অন্তত ৯ জন রোহিঙ্গাকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। শুধু মংড়ুর একটি গ্রামে এখন পর্যন্ত ৯০ জন নারী-পুরুষ-শিশু নিখোঁজ রয়েছে। সম্প্রতি রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়। এরই জেরে সোমবার সেনাবাহিনী ৩৪ জনকে হত্যা করে।

যদিও বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, গত সপ্তাহে সেনাবাহিনীর ওই অভিযানে অন্তত সাড়ে ৩০০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। মিয়ানমারের সরকারি সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় সপ্তাহ ধরে চলা অভিযানে অন্তত ৭০ জন রোহিঙ্গা নিহত এবং চারশ’ জন গ্রেফতার হয়েছে।

রাখাইনের ঘটনায় ওয়াশিংটনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এইচআরডব্লিউ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিগত হত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত  ৩০ হাজার রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

এদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ শনাক্ত করেছে, গত তিন সপ্তাহে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের তিনটি গ্রামের সব বাড়িঘর সম্পূর্ণরূপে পুড়িয়ে দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। প্রায় ৪৩০টি ভবন পুড়ে ভস্ম করে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, রাখাইন মিয়ানমারের দারিদ্র্যপীড়িত প্রদেশ এবং সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিপীড়নের জন্য পরিচিত। এর আগে ২০১২ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে স্থানীয় বৌদ্ধ ও মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০০ জন নিহত হয়।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ