শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

primeministar

আওয়ার ইসলাম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ নিজের ধর্ম পালন করতে পারবে। আমাদের দেশের প্রতিটা মসজিদে যেসব ইমাম খুতবা দিচ্ছেন তারা জঙ্গিবাদ বিরোধী খুতবা দিবেন। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম কি বলেছে, কোরআন শরীফে কি লেখা আছে সেসব পড়ে শোনাবেন।

গণভবনে এক ভিডিও কনরফারেন্সে রাজশাহী অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি আরো বলেন- আমরা এর আগেও নৃশংসতা দেখেছি রাজশাহীসহ বিভিন্ন শহরে। বাংলা ভাইয়ের উত্থান দেখেছি। বিএনপির মন্ত্রী-উপমন্ত্রীরা তাদের মদদ দিয়েছে। আর তারা প্রকাশ্যে জঙ্গি কার্যক্রম চালায়। মেরে পা উপরে দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। আওয়ামী লীগ নেতাকে আট টুকরা করে মাটিতে পুঁতে রেখেছে। এখন আবার নতুন উপসর্গ ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করা। আমরা শান্তি বিশ্বাস করি।
এসময় তিনি অতীতের কথা টেনে বলেন, কিছুদিন আগে বিএনপির এক নেত্ া বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ আন্দোলনের কি দেখেছে, নভেম্বরে আরো দেখবে। তার সেই আন্দোলন যদি মানুষকে হত্যা করা হয়। তাহলে সেটা কি কখনো মানুষের জন্য কল্যাণকর?
এসমস্ত জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, অভিভাবক, পেশাজীবী, শিক্ষার্থী সব্রা সহযোগিতাতেই আমরা বাংলাদেশকে একটি সুন্দর দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো। দেশ আজ উন্নয়নের পথে। বিশ্ববাসী স্বীকার করে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। জাতির পিতা বেঁচে থাকলে এদেশ আগেই উন্নত হতো। আমরা শিক্ষার উন্নয়ন করছি। সারাদেশে আরো বেশি যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তুলছি। নদী ড্রেজিং করে নাব্যতা বাড়াচ্ছি। সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। পরমাণু বিদ্যুৎ গড়্রা পরিকল্পনা নিচ্ছি। কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট বানাচ্ছি। আজ ৭৮ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। দেশের উন্নয়নের এই গতি অব্যাহত রাখতে হবে। সেটা যেন কেউ বাধা দিতে না পারে সেদিকে নজর করতে হবে। জঙ্গিরা এর আগে বিদেশীদেরও হত্যা করেছে। কেন? কি দোষ ছিলো তাদের? এসব নিয়ন্ত্রণে সবাই সবাইকে সহযোগিতা করবেন। কারো সন্তান যেন বিপথে গেলে তাকে ফিরিয়ে আনতে সবাই মিলে চেষ্টা করবেন। সন্তান সুপথে থাকলে পরিবার লাভবান হবে। দেশ সেবা পাবে। পরিবারে স্বচ্ছলতা আসবে।
বক্তৃতায় সবাইকে আরো বেশি বেশি গাছ লাগাতেও উদ্বুদ্ধ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, বাগান করার জায়গা থাকলে বাগান করেন। বারান্দায় বা ঘরেও গাছ রাখুন। পরিবেশ রক্ষার জন্য দেশে ব্যাপক পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করার দরকার। আষাঢ় মাস থেকে গাছ লাগান কর্মসূচী শুরু হবে আমাদের। এর আগে আন্দোলনের নামে হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলেছে বিএনপি। এতে কার কি লাভ হয়েছে আমরা জানিনা। এখন তার থেকেও অনেক অনেক বেশি গাছ লাগাতে হবে আমাদের।
আআ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ