বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
খেলাফত আন্দোলনের সাথে সমমনা ইসলামি দলসমূহের বৈঠক অনুষ্ঠিত কুরআনের মহব্বত থেকেই আমার রাজনীতিতে আসা: শায়খ নেছার আহমদ জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: আখতার হোসেন ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ নাশরুস সীরাহ’র সীরাত প্রতিযোগিতা, চলছে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয়: তীব্র নিন্দা ধর্মীয় নেতাদের মহাসমাবেশে আসার পথে আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে শায়খে চরমোনাই  ইবনে শাইখুল হাদিস এর আগমন উপলক্ষে শৈলকুপায় ব্যাপক প্রস্তুতি পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বেতুয়া হুজুরের বাড়িতে ইসলাহি মাহফিল

বিয়ার খাওয়া যাবে কি?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

smillign-fizzy-drinks

মুফতী আব্দুল্লাহ বিন রফিক:

পথ চলতে চলতে একটু ক্লান্তি এলেই তেষ্টা-পিপাসা বেশ জাঁকিয়ে ধরে।  সবার নজর পড়ে তখন পানীয় ও সফ্ট ড্রিংকের প্রতি। পছন্দ হিসেবে কেউ সাধারণ পানি, কেউ আরসি কোলা ইত্যাদি পানীয় হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। অনেকে আবার উচ্চাভিলাসী ড্রিংক হিসেবে বিয়ার ও বিদেশী পানীয় গ্রহণ করে থাকে। প্রশ্ন হচ্ছে ইসলাম কি এসব পানি গ্রহণ করার  অনুমোদন দেয়? জেনে নেই তাহলে এর বিধান।

সমাজে যেসব পণ্য মাদক হিসেবে প্রচলিত এসবই মাদক বিধির আওতাভুক্ত। এর কমবেশি সবই হারাম।

তবে যা সরাসরি মাদক দ্রব্য হিসেবে প্রচলিত নয়। সেই সাথে তা নেশাগ্রস্ত করে না, তাহলে এসব পণ্যে অন্য কোন হারাম উপাদান না থাকলে হারাম বলার সুযোগ নেই।

উপর্যুক্ত বিবেচনায়  বিয়ার আমাদের সমাজে মদ হিসেবেই প্রচলিত। এগুলো গ্রহণের ফলে  মানুষ নেশাগ্রস্থ হয়। তাই এ পণ্য মদ হিসেবেই বিবেচ্য। মদের যে বিধান এরও একই বিধান তথা বিয়ার পান করা হারাম।

কিন্তু এছাড়া যেসব সাধারণ পানীয় পাওয়া যায়, যেমন পেপসি, সেভেন আপ, এসব কোনটিই মাদক দ্রব্য হিসেবে প্রচলিত নয়। আর এসব খাওয়ার দ্বারা ব্যক্তি মাতালও হয় না। তাই এসব সাধারণ পানীয়তে অন্য কোন হারাম উপাদান থাকার নিশ্চয়তা পাওয়া না গেলে পান করাতে কোন সমস্যা নেই।

তবে আধুনিক বিজ্ঞানের গবেষণায় যেহেতু এগুলো ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়েছে তাই এগুলো গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকাই কাম্য।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ

كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ

নেশা সৃষ্টিকারী প্রতিটি বস্তুই হারাম। [বুখারী, হাদীস নং-৪৩৪৩]

আরেক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ

ما أسكر كثيره فقليله حرام

যে বস্তু বেশি পরিমাণ খেলে নেশা হয়, তার সামান্য পরিমাণ খাওয়াও হারাম।

[জামে তিরমিজী, হাদীস: ১৮৬৫,  সুনানে ইবনে মাজাহ,  হাদীস: ৩৩৯৩,  সুনানে আবু দাউদ, হাদীস: ৩৬৮১]


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ