শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৮ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
চান্দিনায় কওমি মাদ্রাসা সংগঠনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন পিআর পদ্ধতি ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় : মাওলানা বোরহান উদ্দিন   বিশ্বের ৪৫০ প্রভাবশালী ইহুদির ইসরায়েলের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আহ্বান মহেশখালীতে মহানবী (সাঃ)-কে অবমাননার অভিযোগে উত্তম কুমার গ্রেফতার ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে সাভারে ইত্তিহাদুল উলামার বিক্ষোভ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে ছেলের সাথে প্রাণ গেলো বাবার ইসকন নিষিদ্ধসহ সাত দফা দাবীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২, আহত ১০ বিভাগীয় শহরে জামায়াতসহ ৮ দলের বিক্ষোভ শনিবার ইসকন বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত: ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ

বিয়ার খাওয়া যাবে কি?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

smillign-fizzy-drinks

মুফতী আব্দুল্লাহ বিন রফিক:

পথ চলতে চলতে একটু ক্লান্তি এলেই তেষ্টা-পিপাসা বেশ জাঁকিয়ে ধরে।  সবার নজর পড়ে তখন পানীয় ও সফ্ট ড্রিংকের প্রতি। পছন্দ হিসেবে কেউ সাধারণ পানি, কেউ আরসি কোলা ইত্যাদি পানীয় হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। অনেকে আবার উচ্চাভিলাসী ড্রিংক হিসেবে বিয়ার ও বিদেশী পানীয় গ্রহণ করে থাকে। প্রশ্ন হচ্ছে ইসলাম কি এসব পানি গ্রহণ করার  অনুমোদন দেয়? জেনে নেই তাহলে এর বিধান।

সমাজে যেসব পণ্য মাদক হিসেবে প্রচলিত এসবই মাদক বিধির আওতাভুক্ত। এর কমবেশি সবই হারাম।

তবে যা সরাসরি মাদক দ্রব্য হিসেবে প্রচলিত নয়। সেই সাথে তা নেশাগ্রস্ত করে না, তাহলে এসব পণ্যে অন্য কোন হারাম উপাদান না থাকলে হারাম বলার সুযোগ নেই।

উপর্যুক্ত বিবেচনায়  বিয়ার আমাদের সমাজে মদ হিসেবেই প্রচলিত। এগুলো গ্রহণের ফলে  মানুষ নেশাগ্রস্থ হয়। তাই এ পণ্য মদ হিসেবেই বিবেচ্য। মদের যে বিধান এরও একই বিধান তথা বিয়ার পান করা হারাম।

কিন্তু এছাড়া যেসব সাধারণ পানীয় পাওয়া যায়, যেমন পেপসি, সেভেন আপ, এসব কোনটিই মাদক দ্রব্য হিসেবে প্রচলিত নয়। আর এসব খাওয়ার দ্বারা ব্যক্তি মাতালও হয় না। তাই এসব সাধারণ পানীয়তে অন্য কোন হারাম উপাদান থাকার নিশ্চয়তা পাওয়া না গেলে পান করাতে কোন সমস্যা নেই।

তবে আধুনিক বিজ্ঞানের গবেষণায় যেহেতু এগুলো ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়েছে তাই এগুলো গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকাই কাম্য।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ

كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ

নেশা সৃষ্টিকারী প্রতিটি বস্তুই হারাম। [বুখারী, হাদীস নং-৪৩৪৩]

আরেক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ

ما أسكر كثيره فقليله حرام

যে বস্তু বেশি পরিমাণ খেলে নেশা হয়, তার সামান্য পরিমাণ খাওয়াও হারাম।

[জামে তিরমিজী, হাদীস: ১৮৬৫,  সুনানে ইবনে মাজাহ,  হাদীস: ৩৩৯৩,  সুনানে আবু দাউদ, হাদীস: ৩৬৮১]


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ