শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ত্যাগ করলেই ঐক্য : হানিফ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

hahif20160423103124ডেস্ক নিউজ : গুলশানে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যের আহ্বান ‘প্রত্যাখ্যান’ করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। রোববার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির পক্ষ থেকে এ আহ্বান প্রত্যাখ্যান করা হয়।

একই দিন নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজধানীর গুলশানের আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় দলমত নির্বিশেষে সন্ত্রাসবিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান।

খালেদা জিয়ার বক্তব্যের জবাব দিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। এতে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হানিফ বলেন, ‘অবশ্যই, জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন আছে। এটা আমরাও মনে করি।’ ‘কিন্তু জাতীয় ঐক্য হবে কার সঙ্গে? যিনি জঙ্গি লালন করছেন, জঙ্গি-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন তার সঙ্গে? কিভাবে তার সঙ্গে জাতীয় ঐক্য সম্ভব?’ প্রশ্ন তোলেন তিনি।

খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে হানিফ বলেন, ‘উনি আগে যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ত্যাগ করুক। অতীত ভুলের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করুক। তাহলে উনার সঙ্গে জনগণের ঐক্য হতে পারে। আমাদের ঐক্যও হতে পারে। কারণ জাতীয় ঐক্য আমরাও চাই।’

তিনি বলেন, ‘আজকে খালেদা জিয়া বেশ কিছু ভাল কথা বলেছেন। কিন্তু ওই বক্তব্য শুনে দেশবাসীর সঙ্গে আমরাও অবাক হয়েছি। কারণ তিনি বলেছেন, কোন বিবেকবান মানুষ এ সকল হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে না। তার এই কথাগুলো সুন্দর ও মূল্যবান।’ ‘কিন্তু এসব কথা বলছেনটা কে? যিনি একবছর আগেও সরকার বিরোধী হরতাল ধর্মঘটের ডাক দিয়ে পেট্রোল বোমা ও আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে ২২১ জন মানুষকে হত্যা করেছেন’ দাবি আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্রের।

তিনি দাবি করেন, ‘বাংলাদেশে সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের উৎস হচ্ছে বেগম জিয়া। আমরা তার সময়ে বাংলা ভাইসহ সব জঙ্গিদের উত্থান দেখেছি।’

হানিফ আরও বলেন, ‘এখন বেগম জিয়া নিজেই উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছেন। তিনি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণকে বিপর্যস্ত করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আইএস ও আলকায়েদা বলে কিছু নেই। এদের সঙ্গে আর্ন্তজাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস বা আলকায়েদার সম্পর্কও নাই। এরা সবাই জামায়াতের যারা বিভিন্ন সংগঠনের নামে সরকারকে বিব্রত করা এবং বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, স্বাস্থ্য সম্পাদক বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু প্রমুখ।

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টেফোর/ওএস


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ